ঢাকা, রবিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

কৌশলে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে সর্বস্বান্ত করা হচ্ছে সাধারণ মানুষকে

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১২:০৪ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪৩৩ বার


কৌশলে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে সর্বস্বান্ত করা হচ্ছে সাধারণ মানুষকে

যন্ত্রের সুযোগ নিয়ে বায়োমেট্রিক্স ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করছে একটি চক্র। পরে একে কাজে লাগিয়ে মোবাইলের সিম কিনে প্রতারণা করে সর্বস্বান্ত কো হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। সম্প্রতি এমন চক্রের আট সদস্য ধরা পড়েছে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) জালে।

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশিদ।

তিনি জানান, নতুন সিম কার্ড রেজিস্ট্রেশন করতে গেলে অথবা হারিয়ে যাওয়া সিম তুলতে গেলে একটি বিশেষ যন্ত্রে আঙুলের ছাপ দিতে হয়। এ যন্ত্রটির নাম বায়োমেট্রিক্স ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার। এটি মানুষের আঙুলের ছাপ নিখুঁতভাবে সংগ্রহ করতে পারে। কিন্তু আঙুল ভেজা বা এতে ময়লা থাকলে এটি সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না।
 
আর যন্ত্রের এ সুযোগটিই কাজে লাগাচ্ছে চক্রটি। তারা কৌশলে সংগ্রহ করছে মানুষের বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিণ্ট। আঙুলে ময়লা আছে বা আঙুল ভেজা - এ অজুহাতে তারা একটি বিশেষ সিলিকন পদার্থ দিয়ে পরিষ্কার করার কথা বলে নিয়ে নিচ্ছে আঙুলের ছাপ। পরে তা সংরক্ষণ করা হচ্ছে আরেকটি সিলিকনে। এ রকম হাজার হাজার আঙুলের ছাপ পাওয়া গেছে ধরাপড়া এ আটজনের কাছে।

পুলিশ আরও জানায়, বিশেষ কৌশলে এরা বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করে তা দিয়ে সিম কিনে বিক্রি করছেন অপরাধী চক্রের কাছে। এদের ছয়জনই দুটি মোবাইল অপারেটর কোম্পানির কাস্টমার কেয়ার ম্যানেজার ও বিক্রয় প্রতিনিধি। এর মধ্যে মেহেদী নামে একজন মাত্র এসএসসি পাস। কিন্তু প্রযুক্তিবিদ্যায় ভীষণ পারদর্শী। তিনি নিজেই তৈরি করেছেন একটি বিশেষ অ্যাপস, যার মাধ্যমে আঙুলের ছাপ ছাড়াও অন্তত ছয় ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য টাকার বিনিময়ে তুলে দিচ্ছেন অন্যের কাছে।

হারুন অর রশিদ বলেন, ‘তারা একটি অ্যাপ বানিয়েছেন। আপনি যদি কারও তথ্য চান, তখন নাম, মোবাইল নম্বর বা জাতীয় পরিচয় পত্রের (এনআইডি) নম্বর দিলে, তারা ওই ব্যক্তির সব তথ্য দিয়ে দিতে পারেন।

পুলিশ বলছে, অন্যের বায়োমেট্রিক তথ্য জালিয়াতি করে সিম কিনছেন অপরাধীরা। ফলে অপরাধকাণ্ডে এসব সিম ব্যবহার করেও তারা থেকে যাচ্ছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।


   আরও সংবাদ