ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১১ জুন, ২০২৪ ১৫:৩০ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ১০৭ বার
গতকাল বাংলাদেশের হারে ব্যাটারদের ব্যর্থতার পাশাপাশি আরও বাজে আম্পায়ারিংয়ের বিষয়ও উঠে এসেছে সবার নজরে। একই ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষেই বেশ কয়েকটি বাজে সিদ্ধান্ত এসেছিল।
যেটি নিয়ে কথা চলছে এখনও।
রান তাড়ায় নেমে ১৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে বাজে আম্পায়ারিংয়ের শিকার হয় বাংলাদেশ। বার্টম্যানের করা সেই ডেলিভারি আড়াআড়িভাবে গিয়ে ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ব্যাটে-বলে না হওয়ায় লেগ বিফোর উইকেটের জন্য আবেদন করেন বোলার ও ফিল্ডাররা। তাৎক্ষণিক আম্পায়ার আউট দিলেও রিভিউতে দেখা যায় সেটি আউট হয়নি। এতে বল বাউন্ডারিতে গেলেও চার রান আর কাউন্ট করা হয়নি।
অথচ এই চার রানের জন্যই হেরেছে বাংলাদেশ। আইসিসির নিয়ম হলেও এই সিদ্ধান্ত এখন প্রশ্নবিদ্ধ। বিশেষ করে জয়ের জন্য যখন এই পরিমাণ রানই দরকার ছিল। খালি চোখে দেখতে পাওয়া এই সিদ্ধান্ত ভারতের বিপক্ষে হলে কেমন হতো? ক্রিকবাজের সঙ্গে আলাপকালে এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন ক্রিকেট বিশ্লেষক ও ধারাভাষ্যকার সায়মন ডুল।
তিনি বলেন, ‘ধরা যাক, বিষয়টা ফাইনালে হলো। কিংবা বলা যাক, (বাংলাদেশের বদলে) ভারত ছিল বিপরীতে দিকে। সেটাও হোক একটা ফাইনালে। তাহলে পুরো ম্যাচজুড়ে এমন কিছু (আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত) করে যাওয়া খুব কঠিন হতো। ’
আউট ঘোষণার পর বল ‘ডেড’ হয়ে যায়। যে কারণে বাদ যায় চারটি রান। এমন সিদ্ধান্তের জন্য বল বাউন্ডারি পার হওয়ার পর আম্পায়ার তার সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন বলে মনে করেন সায়মন, ‘আমি বলতে চাইছি, যেভাবে এই পদ্ধতি কাজ করছে, সেখানে কিছু একটা পরিবর্তন অবশ্যই আনতে হবে। কারণ এটা বিশ্রি একটা ভুল। একেবারেই বাজে সিদ্ধান্ত। কোনোভাবেই বলটা (মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের আউট সম্পর্কে) স্টাম্পে আঘাত করত না। একেবারে বন্দুকধারীর মত দ্রুতগতিতে আম্পায়ার হাত তুলেছে। ’
‘এটা বাজে সিদ্ধান্ত ছিল। আর আমাদের বলতেই হবে পুরো টুর্নামেন্টেই আমরা খুব ভালো কিছু আম্পায়ারিং দেখেছি। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সেটা ছিল না। তারচেয়ে বড় কথা, অতিরিক্ত চার রান হওয়া দরকার ছিল। ’
আম্পায়ার্স কল এবং এমন বিতর্কিত সিদ্ধান্তে আইসিসিকে পরিবর্তন আনতে হবে বলে মনে করেন তিনি, ‘ধরা যাক, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শেষ বলে এটা ঘটলো। আর একটা দল এমন বাজে সিদ্ধান্তের কারণে হেরে গেল। যেভাবে এইসব চলছে, তাতে কিছু পরিবর্তন আনতেই হবে। কারণ এখন প্রায়ই এসব হচ্ছে। প্রতিবারই এমন কিছু প্রশ্ন আমি করেছি আইসিসি টুর্নামেন্টের আগে বা পরে। তখন তারা বলে, আমাদের এখানে কিছু করার নেই। এটা খেলার ফলাফলে বড় কোনো প্রভাব ফেলবে না। কিছু একটা পরিবর্তন অবশ্যই আসতে হবে। এগুলো ম্যাচের ফল বদলে দিচ্ছে। আর আমরা এমনটা হতে দিতে পারি না। ’