ঢাকা, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

কেইপিজেডে কর্মসংস্থান হবে ৭০ হাজার লোকের

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ১ অক্টোবর, ২০২৪ ১৭:০০ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩১ বার


কেইপিজেডে কর্মসংস্থান হবে ৭০ হাজার লোকের

চট্টগ্রাম থেকে ফিরে: চট্টগ্রামে কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনে ( কেইপিজেড) বর্তমানে ৩১ হাজার কর্মী কাজ করছেন। তবে কেইপিজেড পুরোপুরি চালু হলে এখানে ৭০ হাজার লোক কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন।

কেইপিজেড'র কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

 

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) কেইপিজেড এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এখানের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মীরা কাজ করছেন। এখানে বিশ্বের ৪৮ টি প্রতিষ্ঠানের কারখানা রয়েছে। এসব কারখানার ফ্লোর স্পেসের পরিমাণ ৭০ লাখ বর্গ মিটার। তবে কেইপিজেডের ভিতরে এখনো অনেক  কারখানা নির্মানাধীন রয়েছে। বিশেষ করে টেক্সটাইল জোনে ৫ টি ম্যান মেড ফাইবার পোশাক তৈরির কারখানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই সেখানে ৩টি ম্যান মেড ফাইবার পোশাক কারখানা চালু হয়েছে। আর বাকী ২ টি  কারখানার অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চলছে।

কেইপিজেএড এলাকা পরিবেশবান্ধব হিসেবে গড়ে তুলতে ৮২২ একর জমিতে প্রায় ৩০ লাখ গাছ  লাগানো হয়েছে। প্রতিবছর এখানে  প্রায় দেড় লাখ গাছ রোপণ করা হয়। এছাড়া কেপিইজেড এলাকায় ৩৩ টি লেক ও জলাশয় রয়েছে। এসব লেক জলাশয়ে ৬০০ মিলিয়ন গ্যালন বৃষ্টির পানি ধরে রাখা হয়। যে কারণে কেপিইজেড এলাকায় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা পায়।

কেইপিজেএডের কর্মকর্তারা জানান, এখানে ১০০ একর জমিতে আইটি পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই দুইটি আইটি ভবন বানানো হয়েছে। আরো বেশ কয়েকটি বিল্ডিং গড়ে তোলা হবে। এছাড়া আরো ৫০ একর জমির ওপর আইটি ডেভেলপমেন্ট কমপ্লেক্সে ১৬টি উচ্চ ভবন বানানোর পরিকল্পনা রয়েছে। দুইটি আইটি পার্ক নির্মাণ সম্পন্ন হলে ২০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে।


চট্টগ্রাম কেপিইজেড কারখানার রুপটফে বিশাল সোলার পাওয়ার  প্ল্যান্ট  রয়েছে। এই সোলার পাওয়ার থেকে ইতোমধ্যেই ৩৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। তবে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এটিই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রুপটফ সোলার প্ল্যান্ট৷

শ্রমিক-কর্মাচারী বান্ধব কারখানা হওয়ায় এখানে ক্যান্টিন, ফ্রি চিকিৎসা, চাইল্ড কেয়ার সেন্টার ইত্যাদি সুবিধা রয়েছে। শ্রমিক-কর্মচারীরা মাত্র ২ টাকায় দুপুরের খাবার খেতে পারেন।

কেইপিজেডের সভাপতি জাহাঙ্গীর সাদাত জানান, কেইপিজেডকে আধুনিকীকরণ, পরিবেশ ও শ্রম বান্ধব হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা নানা উদ্যোগ নিয়েছি। এখানে একটি মডেল স্থাপনা আমরা গড়ে তুলতে চাই। সে লক্ষ্যে আমরা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর  ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের ( ডিকাব ) সদস্যদের নিয়ে  দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক কেইপিজেড এলাকা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে  দক্ষিণ কো‌রিয়া প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারিত্বের দিকে তাকিয়ে আছে। দক্ষিণ কোরিয়া বাংলা‌দে‌শের অর্থনৈতিক উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হতে প্রস্তুত। সেজন্য দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী।

উল্লেখ্য,  ১৯৯৬ সালে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ তীরে দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক ইয়াংওয়ান করপোরেশনকে  কেইপিজেড প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দেয়া হয়। পরে ১৯৯৯ সালে এই কেপিইজেড উদ্বোধন হয়। প্রায় আড়াই হাজার একর জমির ওপর গড়ে উঠেছে এই কেইপিজেড।


   আরও সংবাদ