ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

ক্যাপসিকামে বিঘাপ্রতি আয় চার লাখ টাকা

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫৮৪ বার


ক্যাপসিকামে বিঘাপ্রতি আয় চার লাখ টাকা

চায়নিজ রেস্টুরেন্টগুলোতে বেশি ব্যবহার করা হয় মিষ্টি মরিচ ক্যাপসিকাম। সব সময় পাওয়া যায় না। এর দামও দেশি মরিচের চেয়ে একটু বেশি। তবে প্রয়োজন পড়ে বছরজুড়েই। সেই প্রয়োজনের তাগিদেই ক্যাপসিকাম আবাদের চেষ্টা শহিদুলের। উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত রাজবাড়ীর চায়নিজ রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী যুবক শহিদুল ইসলাম। নিজের অল্প জমিতে প্রথম শুরু করেন ক্যাপসিকামের আবাদ। আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়ে তিনি সারা বছরই উৎপাদন করছেন এই মরিচ। এখন তাঁর ক্ষেতে ক্যাপসিকাম দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে আগ্রহীরা ভিড় জমান। অনেকে তা চাষ করতেও আগ্রহ প্রকাশ করেন। ক্যাপসিকাম চাষি শহিদুল ইসলাম রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের বেনিনগর গ্রামের বাসিন্দা।

শহিদুল ইসলাম জানান, তিনি রাজবাড়ী সরকারি কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার্স পাস করেছেন। চাকরির পেছনে না ছুটে তিনি রাজবাড়ী শহরে একটি চায়নিজ রেস্টুরেন্ট খোলেন। সেই রেস্টুরেন্টের জন্যই মিষ্টি মরিচ ক্যাপসিকাম উৎপাদনের কথা তাঁর মাথায় আসে। ইউটিউব ঘেঁটে এবং কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিয়ে ২০১৯ সালে দুই লাখ টাকা ব্যয় করে নিজের এক বিঘা জমিতে এই মরিচের আবাদ করেন। প্রথমবারের মতো তিনি নিজের চাহিদা মিটিয়েও মরিচ বিক্রি করে প্রায় চার লাখ টাকা আয় করেন। পরে শহিদুল বাণিজ্যিকভাবে এই মরিচ আবাদের উদ্যোগ নেন। বর্তমানে তিনি চার বিঘা জমিতে এই মরিচের আবাদ করছেন। এ বছর তাঁর আয় ১৫ লাখ টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

শহিদুল বলেন, ‘তাইওয়ান, ইন্দোনেশিয়ান, ইতালিয়ান ও ইন্ডিয়ান জাতের লাল, হলুদ ও সবুজ রঙের ক্যাপসিকাম মরিচ আবাদ করেছি। একবার এই মরিচের চারা রোপণ করলে চারবার ফুল হয়। প্রতিটি গাছে তিন থেকে পাঁচ কেজি পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। মৌসুম অনুযায়ী প্রতি কেজি ক্যাপসিকাম পাইকারি বাজারে বিক্রি হয় ১০০ থেকে ৪০০ টাকায়। তবে শীত মৌসুম শেষে এর দাম বেড়ে যায়। প্রতি ১৫ দিন পর পর ফসল তোলা যায়। ঢাকাসহ দেশের ১৬টি জেলার পাইকাররা এসে ক্যাপসিকাম কিনে নিয়ে যান।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘বিদেশি কৃষিপণ্য ক্যাপসিকামের উৎপাদন ব্যয় বেশি। বিভিন্ন চায়নিজ ও ফাইভস্টার রেস্টুরেন্টে এই মরিচের ব্যবহার বেশি হয়। বর্তমানে বাংলাদেশেও এই ফসলের বেশ চাহিদা রয়েছে।’ তিনি শহিদুলের উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং অন্য বেকার যুবকদেরও শহিদুলকে অনুকরণ করার আহ্বান জানান।


   আরও সংবাদ