ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

দিনভর ঢাকামুখী মানুষের ভোগান্তির পর সন্ধ্যায় লঞ্চ চালুর অনুমতি

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ১৫২২ বার


দিনভর ঢাকামুখী মানুষের ভোগান্তির পর সন্ধ্যায় লঞ্চ চালুর অনুমতি

দিনভর ঢাকামুখী মানুষের ভোগান্তির পর সন্ধ্যায় লঞ্চ চালুর অনুমতি দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ কিন্তু ততক্ষণে ঢাকার পথে এগিয়ে গেছেন হাজার হাজার যাত্রী যাত্রী না পাওয়ার কারণে শনিবার রাতে বরিশাল নদী বন্দর থেকে কোন লঞ্চ ছাড়েনি ঢাকার উদ্দেশ্যে তবে বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, যাত্রী আসলে লঞ্চ ছাড়বে সেটা রাত ১২টা হোক আর ১টা হোক রবিবার বেলা ১২টা পর্যন্ত লঞ্চ চলাচলের অনুমতি রয়েছে শিল্প কলকারখানা খোলার ঘোষণায় শনিবার সকাল থেকে দক্ষিণাঞ্চলের পথে পথে ঢাকামুখী মানুষের স্রোত দেখা গেছে। কিন্তু লকডাউনের কারণে লঞ্চ-বাস বন্ধ থাকায় তারা ট্রাক, পিকাপ, থ্রিহুইলার, মোটরসাইকেল, নসিমন, করিমন, ট্রাক্টর এমনকি ভ্যানে ঢাকার পথে রওয়ানা হয়েছেন হাজার হাজার যাত্রী। তাদের মধ্যে রয়েছেন নারী শিশুরাও। দুর্ভোগ সহ্য করে ঢাকার পথে এগিয়ে গেছেন তারা। দিনভর ঢাকামুখী মানুষের দুর্ভোগের পর শনিবার সন্ধ্যার পর বিআইডব্লিউটিএ এক বিজ্ঞপ্তিতে কারখানা শ্রমিকদের ঢাকা যাতায়াতের সুবিধার্থে রবিবার বেলা ১২টা পর্যন্ত সীমিত পরিসরে লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দেয়। কিন্তু এই ঘোষণার পর বরিশাল নদী বন্দরে নোঙ্গর করে থাকা দূরপাল্লার ৮টি লঞ্চের একটিও ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়েনি। এমনকি ঢাকা যাওয়ার প্রস্তুতিও নেই তাদের। বরিশাল-ঢাকা রুটের এমভি পারাবত-১১ লঞ্চের সুপারভাইজার নজরুল ইসলাম খান বলেন, রাতে যখন তারা সরকারি ঘোষণা শুনেছেন ততক্ষণে ঢাকামুখী যাত্রীরা ঢাকার পথে অনেক দূর এগিয়ে গেছেন। এখন যাত্রী নেই। যাত্রী না থাকায় লঞ্চ ছাড়ার কোন সম্ভাবনা নেই বলে তিনি জানান। একই রুটের এমভি কীর্তনখোলা লঞ্চের সহকারি মহাব্যবস্থাপক বেল্লাল হোসেন বলেন, তারা লঞ্চ চালুর কোন খবরই জানেন না। তাছাড়া নদী বন্দরে ঢাকামুখী কোন যাত্রী নেই। যাত্রী না থাকলে লঞ্চ ছাড়বেন কিভাবে। লঞ্চ মালিক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মো. সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, সরকার যখন এই ঘোষণা দিয়েছে তখন বরিশাল নদী বন্দর যাত্রী শূণ্য। তাছাড়া লঞ্চের অনেক শ্রমিক-কর্মচারীও বাড়ি গেছেন। সরকারি ঘোষণাটা বিকেলে হলেও মাইকিং করে দেয়া যেত। তাহলে কিছু যাত্রী পাওয়া যেত। যাত্রী নেই, কর্মচারীরাও নেই। তাই বরিশাল নদী বন্দর থেকে লঞ্চ ছাড়ার কোন সম্ভাবনা নেই বলে তিনি জানান। বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ যুগ্ম পরিচালক (বন্দর পরিবহন) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সরকার ঢাকামুখী শ্রমিকদের পরিবহনের স্বার্থে রবিবার বেলা ১২টা পর্যন্ত সীমিত পরিসরে লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে। নদী বন্দরে যাত্রী আসলে লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে যাবে। যাত্রী না পাওয়া গেলে যাবে না

 


   আরও সংবাদ