ঢাকা, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

ইলিশ নিয়ে ভারতের হতাশা

স্টাফ রিপোর্টার


প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১১:২৮ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৭৮৩ বার


ইলিশ নিয়ে ভারতের হতাশা

সোমবার আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদেনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ বা মিয়ানমারের ইরাবতী নদীতে ইলিশের আনাগোনা নতুন নয়। তবে গঙ্গাবিমুখ ইলিশের ঝাঁকে খুলনা, পটুয়াখালী কিংবা মিয়ানমারের সিতুয়ে মোহনায় এখন ‘জাল ফেললেই ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে।

 

বাংলাদেশের মৎস্য অধিদফতরের পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, গত দু’বছরের তুলনায় প্রায় ১৯ শতাংশ বেশি ইলিশ ধরা পড়েছে। 

সাউথ এশিয়া নেটওয়ার্ক অব ড্যাম রিভার অ্যান্ড পিপল (এসএএনডিআরপি) তাদের রিপোর্ট বলছে, গঙ্গা থেকে অচিরেই ‘ডোডো পাখি’ হয়ে যেতে বসেছে ইলিশ। 

আধা সরকারি ওই সংস্থার মৎস্য বিশেষজ্ঞ নীলেশ শেট্টি বলছেন, বড্ড বেশি অবহেলা করা হয়েছে গঙ্গাকে। পশ্চিমবঙ্গে গঙ্গার পাড় বরাবর একশোরও বেশি পৌসভার যাবতীয় আবর্জনা এবং নদীর বরাবর গড়ে ওঠা কলকারখানার বর্জ্যে গঙ্গা-দূষণ মাত্রা ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেছে। নোনা জলের ঘেরাটোপ থেকে তার ডিম সংরক্ষণে ইলিশের প্রয়োজন হয় কিঞ্চিৎ মিষ্টি জলের। নদীর কাছে সে জন্যই ফিরে আসে তারা। কিন্তু দূষণের ধাক্কায় গঙ্গার লবণের মাত্রা (স্যালিনিটি) অত্যধিক বেড়ে গেছে।

বাংলাদেশের মৎস্য অধিদফতরের সাবেক কর্মকর্তা আব্দুর শহিদুল্লাহ জানিয়েছেন, পদ্মা কিংবা শাখা নদীর লাগোয়া এলাকায় ভারী শিল্প তেমন নেই। ফলে দূষণে বাংলাদেশের মোহনা এখনও ইলিশের কাছে ব্রাত্য হয়ে ওঠেনি। পানিতে মিষ্টতাও হারায়নি।

এসএএনডিআরপির সদ্য পেশ করা রিপোর্ট বলছে, গভীর সমুদ্র থেকে গঙ্গা মোহনার দিকে যাত্রা করেও শেষ মুহূর্তে মুখ ফেরাচ্ছে ইলিশ। গত দুবছর ধরে এই প্রবণতা ছিল। এ মৌসুমে গঙ্গাবিমুখ ইলিশের অভিমুখ— খুলনা, চট্টগ্রাম, ভোলা, পটুয়াখালীর মোহনা। কখনও বা মিয়ানমারের সিতুয়ে। 


   আরও সংবাদ