ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১২:৩৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৭০২ বার
জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলায় কৃষক ব্যস্ত আগাম আলু চাষে। ভালো দামের আশায় কৃষির মাঠে তাদের ওই মহাব্যস্ততা। কেউ তৈরি করছেন জমি, আবার অনেকেই জমি তৈরির পর বপন করেছেন আলু বীজ।
কৃষকরা বলছেন, বাজারে নতুন আলুর ভালো দাম পাওয়া যায়। বীজ বপনের পর ৫৫ থেকে ৫৮দিনের মধ্যে ফসল তুলা যায়। এসময়ে বাজারে নতুল আলুর চাহিদা থাকায় দামও ভালো পাওয়া যায়। প্রতিবছর ওই আলু তুলে তারা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার বাজারে বিক্রি করেন। আগাম আলু চাষে অধিক লাভ হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে আবাদ।
উপজেলার বাগাগিলি ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি গ্রামের শামীম হোসেন বাবু জানান, আগাম আলু আবাদের জন্য প্রয়োজন একটু উঁচু জমি। কৃষকরা ওই জমিতে আগাম জাতের ধানের কর্তনের পর একই জমিতে আগাম আলু আবাদ করছেন। এতে করে একই জমিতে অধিক ফসল ফলানো সম্ভব হচ্ছে। তেমনি আলুর আগাম বাজার ধরে অধিক লাভবান হচ্ছেন কৃষক।
তিনি বলেন,‘গত বছর ২১ বিঘা জমির আলু আগাম বাজারে বিক্রি করে খরচ বাদে লাভ করেছি ১০ লাখ টাকার অধিক। মাত্র ৫৫ থেকে ৫৮ দিনের মধ্যে এ মৌসুমে আলু ছাড়া অন্য কোন ফসল থেকে এ পরিমান লাভ করা সম্ভব হয় না। একারণে এবার ২৫ বিঘা জমিতে আলু আবাদ করেছি। বীব বপনের পর এখন চলছে পরিচর্যা। আবহাওয়া অনুক’লে থাকায় ভালো ফলন এবং ভালো দামের আশা করছি।’
ওই কৃষক বলেন,‘আগে এ সময়টাতে এলাকার মানুষ মঙ্গায় কবলে পড়তেন। শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় এসে কৃষি বিপ্লবের ওপর জোর দেন। সে বিপ্লবের ধারাবাহিকতায় নিত্য নতুন ফসলের আর্বিভাব ঘটায় কৃষি বিভাগ। এখন এলাকার কৃষক আগাম আলু আবাদ করে তাড়িয়েছেন সে মঙ্গা।