ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল কমার্স সেল শক্তিশালী হচ্ছে

বিনোদন ডেস্ক


প্রকাশ: ৫ অক্টোবর, ২০২১ ২০:১৩ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫২৯ বার


বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল কমার্স সেল শক্তিশালী হচ্ছে

ই-কমার্স খাতের জন্য আলাদা আইন প্রণয়ন ও কর্তৃপক্ষ গঠনের প্রয়োজনীয়তা আছে, নাকি প্রচলিত আইন দিয়ে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা সম্ভব তা বিশ্নেষণ করতে একটি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। উপকমিটি আগামী এক মাসের মধ্যে এ বিষয়ে মতামত জানাবে। উপকমিটিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, আইন মন্ত্রণালয়, এটুআই, এফবিসিসিআই, ই-ক্যাব ও বেসিসের প্রতিনিধি রয়েছেন। তবে আইন প্রণয়ন ও কর্তৃপক্ষ গঠন হোক বা না হোক, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল কমার্স সেলকে আরও শক্তিশালী করে ই-কমার্স নির্দেশিকা বাস্তবায়ন করা হবে।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর ডিজিটাল কমার্স নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে যুগোপযোগী আইন ও শক্তিশালী কর্তৃপক্ষ গঠনের জন্য ১৬ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভা শেষে কমিটির আহ্বায়ক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য ও আমদানি) এএইচএম সফিকুজ্জামান উপকমিটি গঠন ও অন্যান্য বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান।

এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, ই-কমার্স বিষয়ে একটি আইন ও কর্তৃপক্ষ গঠন করা যায় কি-না সে বিষয়ে কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে প্রথম সভায় ডিজিটাল কমার্স পরিচালনার জন্য আইন প্রয়োজন আছে কিনা, না বর্তমান যেসব আইন আছে সেগুলোর মাধ্যমে এ খাতটি পরিচালনা সম্ভব তা বিশ্নেষণ করতে একটি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, প্রতিযোগিতা আইন, আইসিটি আইন, আর্থিক লেনদেন বিষয়ে ব্যাংক কোম্পানি আইনসহ সব আইন বিস্তারিত বিশ্নেষণ করবে। কমিটির মূল কাজ হবে ই-কমার্সের জন্য নতুন করে আইন করতে হবে, নাকি প্রচলিত যেসব আইন আছে সেগুলোর মাধ্যমে পরিচালনা করা যাবে তা পর্যালোচনা করা। প্রচলিত আইনগুলোর কোনো সংশোধন করা লাগবে কিনা তাও দেখবে উপকমিটি।

তিনি বলেন, আইনের পাশাপাশি কর্তৃপক্ষ গঠন নিয়েও কমিটি আলোচনা করেছে। একটি কর্তৃপক্ষ গঠন করতে গেলে বেশ সময়ের দরকার হয়। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ২০১১ থেকে কার্যক্রম শুরু করে এখন সেটা একটি কার্যকর কর্তৃপক্ষ হয়েছে। এখন ডিজিটাল কমার্স কর্তৃপক্ষ করতে হলে জনপ্রশাসন ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের মতামত দরকার। কমিটি মনে করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও প্রতিযোগিতা কমিশনের নিয়মিত কাজের পাশাপাশি ডিজিটাল কমার্স বিষয়ে ফোকাস করে আলাদা উইং করা যেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, এসবের বাইরে কমিটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল কমার্স সেলকে আরও শক্তিশালী করার সুপারিশ করছে। এ সেল এতদিন ডব্লিউটিও সেলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। এখন আরও শক্তিশালী করা দরকার। এ সেল ইতোমধ্যে ই-কমার্স নির্দেশিকা তৈরি করেছে। কিন্তু নির্দেশিকার আইনগত ভিত্তি নেই। কমিটি মনে করে, এই নির্দেশিকা ঠিকমতো বাস্তবায়নের জন্য ডিজিটাল কমার্স সেলকে ক্ষমতায়িত করা দরকার।

সম্প্রতি ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জ, ধামাকা শপসহ কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান দেশের লাখ লাখ ক্রেতা ও সরবরাহকারীদের থেকে আগাম টাকা ও পণ্য নিয়ে প্রতিশ্রুত সময় অনুযায়ী পণ্য বা টাকা দিতে পারছে না। ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জের মালিকপক্ষ বর্তমানে কারাগারে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তারা পালিয়ে গেছেন। এ অবস্থায় গত ২২ সেপ্টেম্বর বাণিজ্যমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীকে নিয়ে একটি বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে ই-কমার্স খাতের জন্য আলাদা আইন, কর্তৃপক্ষ গঠন এবং প্রচলিত আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনাসহ বিভিন্ন সুপারিশ আসে। সেই সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতেই আইন প্রণয়ন ও কর্তৃপক্ষ গঠনের জন্য কমিটি করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।


   আরও সংবাদ