বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ৬ অক্টোবর, ২০২১ ১৪:৩২ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৬১৫ বার
হু হু করে বাড়ছে পেঁয়াজের মত নিত্যপণ্যের দাম। ২৬ টাকার পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে কেজি ৮০টাকা করে। যা সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের একেবারে বাইরে। খুচরা বিক্রেতারা জানান, পাইকারি বাজার থেকে সোমবার ৬৫ টাকায় পেঁয়াজ কিনেছেন তাঁরা। পচনশীল পণ্য হওয়ায় প্রতি বস্তায় এক–দু কেজি পেঁয়াজ নষ্ট থাকে। পরিবহন খরচ আছে। সব মিলিয়ে ৭৫ থেকে ৮০ টাকার নিচে বিক্রি করলে পোষানো যায় না।
চার স্থলবন্দরের তথ্যে দেখা যায়, রপ্তানি বন্ধের আগে এ মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে ভারত থেকে ৪২ হাজার ১৭৬ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়। প্রতি কেজি পেঁয়াজের শুল্কসহ গড় আমদানিমূল্য ১৯ টাকা। এ পেঁয়াজ আমদানি করেছেন ১০৮ জন আমদানিকারক।
আমদানিকারকরা বলছেন, দেশে পেঁয়াজ আমদানির সবচেয়ে বড় স্টেশন চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর। এ বন্দর দিয়ে সোমবারও মেসার্স বিএইচ ট্রেডিং অ্যান্ড কোং নামের একটি প্রতিষ্ঠান শুল্কসহ কেজিপ্রতি ২৬ টাকা দরে ৩০ টন পেঁয়াজ আমদানি করেছে। সব মিলিয়ে এ মাসে প্রতিষ্ঠানটি গড়ে ২২ টাকা দরে ২৫৬ টন পেঁয়াজ আমদানি করেছে।
ভারত থেকে মূলত চারটি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হয়। বন্দর চারটি হলো বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ ও হিলি। এসব বন্দর দিয়ে এ মাসের প্রথম দিন ভারত থেকে ৩ হাজার ৬৪ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়। প্রতি কেজি পেঁয়াজে শুল্ক ১ টাকা ৩৪ পয়সা। শুল্ককরসহ প্রতি কেজি পেঁয়াজের আমদানিমূল্য ছিল ১৭ টাকা। এরপর ধীরে ধীরে আমদানিমূল্য বাড়তে থাকে। পরের দুদিন প্রায় একই দরে আমদানি হয়। ৫ ও ৬ সেপ্টেম্বর কেজিতে আমদানিমূল্য বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ টাকায়। একটানা দুদিন ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর কেজিতে গড় আমদানিমূল্য ওঠে ২০ টাকা। এ সপ্তাহের শনিবার আমদানিমূল্য ছিল ২২ টাকা। আর রোববার তা আরও ১ টাকা বেড়ে দাঁড়ায় ২৩ টাকায়।
ভারত যেদিন রপ্তানি বন্ধ করেছে, সেদিন অর্থাৎ সোমবার বিকেল পর্যন্ত সোনামসজিদ ও বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ১ হাজার ২০০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়। প্রতি কেজির গড় আমদানিমূল্য ছিল ২৬ টাকা। এদিন খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকায়। এরপর গতকাল বুধবার বিকেল পর্যন্ত কোনো পেঁয়াজ আমদানি হয়নি। একই দরে কেনা পেঁয়াজ গতকাল বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৭৫–৮০ টাকা দরে।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম গতকাল প্রথম আলোকে জানান, আগামী দিনে সরবরাহ কেমন হবে, তার ওপর ভিত্তি করে পেঁয়াজের মতো পচনশীল পণ্যের বাজার ওঠানামা করে। এবারের অবস্থাও হয়েছে তাই। এখন দেশীয় মজুত দিয়ে বাজার স্বাভাবিক করার অবস্থায় নেই। বাজার স্বাভাবিক করতে হলে সরবরাহ বাড়াতে হবে। নতুন পেঁয়াজ না আসা পর্যন্ত অন্তত দুই লাখ টন পেঁয়াজ সরকারি–বেসরকারি পর্যায়ে আমদানির দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া দরকার বলে জানান তিনি।