বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর, ২০২১ ০৮:০৪ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪৭২ বার
ফ্রান্সের ‘ইপি-ফেয়ার’র এক গবেষণায় দেখা গেছে করোনা টিকা সংক্রমিতদের মৃত্যু বা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রায় ৯০ শতাংশ ঝুঁকি কমায়। গুরুতর অসুস্থতা ঠেকাতে টিকা খুবই কার্যকরী। খবর: এএফপি
গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন ইপি-ফেয়ার নামের ওষুধ নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি গবেষণা দল। দলটি ফ্রান্স সরকারের সঙ্গে কাজ করছে। ৫০ বছরের বেশি বয়সী ফ্রান্সের ২ কোটি ২০ লাখ মানুষের ওপর গবেষণাটি চালিয়েছে ইপি-ফেয়ার।
ফ্রান্স যখন করোনার টিকা দেওয়া শুরু করে ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকেই গবেষণার জন্য দলটি তথ্য সংগ্রহ শুরু হয়। টিকা নেওয়া ১ কোটি ১০ লাখ ও টিকা না নেওয়া ১ কোটি ১০ লাখ মানুষের ওপর এই গবেষণা পরিচালিত হয়। ফ্রান্সে পরিচালিত গবেষণাটি সবচেয়ে বৃহৎ পরিসরে সম্পাদিত হয়েছে বলে দাবি করেছেন গবেষকেরা।
গবেষণায় একই এলাকা, বয়স ও লিঙ্গের টিকা নেওয়া ও না-নেওয়া দুজনকে নিয়ে একটি জোড়া করা হয়। এরপর টিকা নেওয়া ব্যক্তির দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার দিন থেকে দুজনের ওপর নজর রাখা হয়েছে। এই নজরদারি চলেছে চলতি বছরের ২০ জুলাই পর্যন্ত।
গবেষণায় উঠে এসেছে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ১৪ দিন পর থেকে করোনায় মারাত্মকভাবে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা ৯০ শতাংশ কমে যায়। অতি সংক্রামক ডেলটা ধরনের ক্ষেত্রেও টিকা একইভাবে কার্যকর।
দেখা গেছে, করোনার টিকা ৭৫ থেকে এর বেশি বয়সীদের শরীরে ডেলটার বিরুদ্ধে ৮৪ শতাংশ সুরক্ষা দেয়। ৫০ থেকে ৭৫ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে এই হার ৯২ শতাংশ।
ফাইজার, মডার্না আর অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাকে আমলে নিয়ে ইপি-ফেয়ার গবেষণাটি সম্পন্ন করেছে। সেখানে দেখা গেছে, টিকা নেওয়ার পর করোনায় মারাত্মক সংক্রমণ ঠেকাতে পাঁচ মাস পর্যন্ত সুরক্ষার কমতি হয় না।
ইপি-ফেয়ারের প্রধান মহামারি বিশেষজ্ঞ মাহমুদ জুরেখ এএফপিকে বলেন, আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে পাওয়া ফলাফল পর্যায়ক্রমে মূল্যায়ন করা হবে।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইসরায়েলে পরিচালিত গবেষণাতেও একই ধরনের ফলাফল দেখা গেছে।