বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ অক্টোবর, ২০২১ ১৬:১২ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫২৪ বার
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় আগাম আমন ধান কাটতে শুরু করেছেন এলাকার কৃষকেরা। ফসল ভরা মাঠ থেকে ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। চলতি মাসেই চিরিরবন্দরে বিভিন্ন এলাকায় আগাম জাতের আমন ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে।
উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার উপজেলায় ২৩ হাজার ২৭৫ হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা অর্জিত হয়েছে ২৩ হাজার ৩১০ হেক্টর জমি। যা লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি ফলন হয়েছে। তবে এবার পার্চিং পদ্ধতি ব্যাপকহারে ব্যবহারের ফলে রোপা আমন ধানের ভালো ফলন আশা করছে কৃষি বিভাগ।
এবারের আমন আবাদের শুরুটা মোটেও ভালো ছিল না। প্রথম থেকেই কৃষকের মধ্যে ছিল শঙ্কা। প্রথমত পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়া, দ্বিতীয়ত অনাবৃষ্টি। ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষকের মাথায় হাত পড়ে। আমনের যে টার্গেট তারা করেছিল, তা পূরণ না হওয়ার শঙ্কা দেখা দেয়। বর্ষাকাল পেরিয়ে যাওয়ার পরেও আকাশে কালো মেঘের আনাগোনা দেখা মেলেনি। কাঙ্কিত বৃষ্টিপাত না হলেও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের নিয়মিত পরামর্শে সবকিছু মোকাবিলা শেষে মাঠ ঘুরে দেখা যায় আমনের ফলন এবার ভালোই হয়েছে।
স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বাংলা সনের কার্তিক শুরু হতে না হতেই চারিদিকে আগাম জাতের আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। তবে যেসব মাঠ উঁচু এবং আগাম জাতের আলু রোপন করার মতো জমি- সেসব জমিতে আগাম জাতের আমন ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছেন এলাকার কৃষকেরা। সেই সাথে গৃহিনীরাও বাড়ির আঙ্গিনা ও উঠান তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
উপজেলার আলোকডিহি গ্রামের আরিফ হোসেন বলেন, এবার দুই বিঘা জমিতে বিনা-৭ ধান চাষ করেছি। আবহাওয়া ভাল থাকায় বিঘা প্রতি ২০/২২ মণ ধান হয়েছে। তাছাড়াও ধানের দামও বেশি। এই মুহূর্তে ধান বিক্রি করলে আমার সবকিছু খরচ বাবদ বাদ দিয়ে বিঘা প্রতি ৭/৮ হাজার টাকা লাভ হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষিবিদ জোহরা সুলতানা জানান, কৃষকেরা গত বছরের চেয়ে সঠিক সময়ে ধান চাষ করায় বর্তমান আশানুরূপ ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এবার চিরিরবন্দরে আমন ধান চাষ বেশি হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এবার ফলন বেশ ভাল হবে।