বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর, ২০২১ ০৯:২৯ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫৬৮ বার
‘আমি যেখানেই যাই, সেখানেই ওর অস্থি আমার সঙ্গে নিয়ে যাই। তা সেটা গ্রোসারি স্টোরস, শপিং মল, সিনেমা হল কিংবা কোথাও খাবার খেতে যাওয়া হোক না কেন, সব জায়গায় সে আমার সঙ্গে থাকে।’
কথাগুলো বলেন ২৬ বছর বয়সী ক্যাসি। ব্রিটেনের নাগরিক হলেও বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা।
তার স্বামী সিয়ান মারা গেছেন বেশ কিছুদিন আগে। শেষকৃত্যও সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু তারপরও স্বামীর দেহভস্ম সঙ্গে নিয়ে ঘুরছেন এ বিধবা নারী। শুধু সঙ্গে নিয়ে ঘোরা নয়, মাঝেমধ্যে সেই ছাই খাচ্ছেনও তিনি! তাও একবার নয়, দিনে পাঁচ থেকে ছয় বার।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য মিরর এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
জানা যায়, বিধবা এ নারীর নাম ক্যাসি। ২৬ বছর বয়সী ক্যাসি ২০০৯ সালে মার্কিন নাগরিক সিয়ানকে বিয়ে করে। এক সাক্ষাৎকারে ঐ নারী বলেন, হ্যাঁ, শুনতে অবাক লাগলেও এটিই সত্যি।
তিনি আরও জানান, শ্বাসকষ্টজনিত অসুখে কিছুদিন আগে তার স্বামী সিয়ান মারা যান। রীতি অনুযায়ী স্বামীর মৃতদেহ সমাধিস্থ না করে দাহ করান ক্যাসি। পরে প্যাকেটে ভরে রাখেন স্বামী সিয়ানের চিতাভস্ম বা ছাই।
তখন থেকে প্রতিদিন নিয়ম করে সেই ছাই খেয়ে চলেছেন ক্যাসি। তিনি জানান, প্রথমে স্বামীর মৃতদেহ পোড়ানো ছাইয়ের ওজন ছিল প্রায় ছয় কেজি। কিন্তু এখন তা পাঁচ কেজিরও কম হয়ে গেছে। এ ভাবে চলতে থাকলে কিছুদিনের মধ্যেই আর কিছু অবশিষ্ট থাকবে না বলে মার্কিন একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি কেন এমন করছেন? ক্যাসির জবাব, ‘আমি খুব লজ্জিত। কিন্তু নিজেকে সংযত রাখতে পারি না। আসলে সব সময়ই আমি সিয়ানকে সঙ্গে রাখতে চাই।’
অনেকেই প্রশ্ন করেন, এভাবে দিনের পর দিন মৃতদেহ পোড়ানো ছাই খাওয়া কীভাবে সম্ভব। সাক্ষাৎকারে সেই বিষয়টিও জানিয়ে দেন তিনি। ক্যাসি জানান, বেশি নয়, তিনি দিনে পাঁচ ছয় বার আঙুলে একটু ছাই তুলে নিয়ে সেটি খান। কিন্তু কোনোভাবেই তা বন্ধ করতে বা নিজেকে আটকাতে পারেন না তিনি।
ক্যাসির দাবি, ‘ছাইয়ের কৌটোটি খুলতেই তিনি অন্যরকম শিহরণ অনুভব করেন। আর যত ছাই খাই, ততই আনন্দিত হই।’
জানা গেছে, স্বামীর মৃতদেহ পোড়ানো ছাই খাওয়ার ঘটনা সমাজে জানাজানির পর তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন।