ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

পোলট্রি খাতের উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত তৎপরতা দরকার

বিনোদন ডেস্ক


প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর, ২০২১ ২০:১৬ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫০৭ বার


পোলট্রি খাতের উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত তৎপরতা দরকার

পোলট্রি খাত দেশের আমিষের অভাব পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এ খাতের উন্নয়নে চাই সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত তৎপরতা। উৎপাদন থেকে শুরু করে খাদ্য ভোক্তার প্লেটে যাওয়ার প্রতিটি পর্যায়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এর জন্য আইনের যথাযথ প্রয়োগের পাশাপাশি চাই নিবিড় পর্যবেক্ষণ। 

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সার্বিক সহায়তায় এক হোটেলে ‘পোলট্রি খাতে খাদ্যনিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক এক প্রকল্প নিয়ে এক কর্মশালায় কথাগুলো বলেন বক্তারা। 

 বীজবিস্তার ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজ (বিসিএএস) এবং কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) যৌথভাবে এ প্রকল্প পরিচালনা করে। ব্রিটিশ কাউন্সিলের প্রকাশ প্রকল্পের আওয়তায় এ প্রকল্পে সহায়তা দেওয়া হয়। 

দেশের ছয়টি জেলার সাত উপজেলায় পোলট্রি তিন বছর মেয়াদি এ প্রকল্প চলে। অ্যান্টিবায়োটিকের পরিমিত ব্যবহার করে মুরগি উৎপাদন, নিরাপদ খামার ব্যবস্থাপনার জন্য খামারিদের প্রশিক্ষণ, পোলট্রি খাতের উন্নয়নে সরকারি সহায়তার সঙ্গে খামারিদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া, বাজার সম্প্রসারণ—এসব কাজ হয় এ প্রকল্পে।চলতি মাসেই এ প্রকল্প শেষ হয়ে যাবে। 

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ আজিজুর রহমান। তিনি এ প্রকল্পের বিষয়ে বলেন, সরকারি-বেসরকারি তৎপরতার ফলে কীভাবে উন্নয়ন হতে পারে, এ প্রকল্প এর একটি উদাহরণ। এটি একটি মডেল হিসেবে থাকবে। এ মডেলের আরও সম্প্রসারণে কাজ করতে হবে।

শেখ আজিজুর রহমান বলেন, ‘ডিম ও মৎস্য খাতে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। শুধু দুধের প্রাপ্যতায় কিছু পিছিয়ে আছি। সেটিও অর্জিত হবে। এখন দরকার নিরাপদ খাদ্য। এটা এখন বড় চ্যালেঞ্জ।’

অনুষ্ঠানে বিসিএসের নির্বাহী পরিচালক আতিক রহমান বলেন, ‘আমাদের দেশে একটি প্রকল্প শুরু হয় জোরেশোরে। কিন্তু এগুলোর মেয়াদ শেষ হলে আর কোনো খবর থাকে না। এ প্রকল্প যেন এভাবেই শেষ না হয়ে যায়।’

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আফতাব বহুমুখী ফার্মের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু লুৎফে ফজলে রহিম খান। তিনি বলেন, পোলট্রি খাতের উন্নয়নে একটি পোলট্রি বোর্ড দরকার। যেখানে খামারি, খামারের মালিক, ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সরকারের বিভিন্ন তরফের লোক থাকবে। 

তিনি বলেন, ‘ইউরোপে নিরাপদ খাদ্যের যে মানদণ্ড নির্ধারণ করা হয়েছে, তা আমাদের দেশে মানলে মানুষ খেতে পাবে না। আমাদের জন্য আমাদের উপযোগী মানদণ্ড নির্ধারণ করতে হবে।’
 


   আরও সংবাদ