বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর, ২০২১ ০৭:২৮ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫৩০ বার
চুক্তি অনুযায়ী ভারত থেকে দেশে চাল আমদানির শেষ সময় ৩০ অক্টোবর (শনিবার)। সে অনুযায়ী রোববার থেকে দেশে চাল আমদানি বন্ধ হচ্ছে। ৩১ অক্টোবর থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ব্যবসায়ীরা আর চাল আমদানি করতে পারবেন না।
এমন নির্দেশনায় শেষ দিনে শনিবার বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি সম্পূর্ণ করতে ব্যস্ত সময় পার করে আমদানিকারকেরা। তবে এখনও প্রবেশের অপেক্ষায় ভারতে চাল ভর্তি ট্রাক সিরিয়ালে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
দেশে চালের বাজারদর ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে সরকার চলতি বছরে বেশকিছু পদক্ষেপ নেয়। এতে গত ২৫ আগস্ট ৪০০ জন আমদানিকারককে সাড়ে ১৬ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি দেয়। এর মধ্যে ১৪ লাখ ৫৩ হাজার মেট্রিক টন ছিল সিদ্ধ চাল ও এক লাখ ৯৭ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল।
মোটা চাল প্রতি মেট্রিক টন ৩৭০ থেকে ৩৮০ ডলার এবং চিকন চাল প্রতি মেট্রিক টন ৪২৫ থেকে ৪৭০ ডলার মূল্যে আমদানি হচ্ছে। তবে শর্ত ছিল ৩০ অক্টোবরের মধ্যে এ চাল ভারত থেকে আমদানি শেষ করতে হবে।
জানা যায়, দেশে প্রতি বছর চালের চাহিদা রয়েছে ২ কোটি ৩১ লাখ ৮২ হাজার মেট্রিক টন। আর দেশে চাল উৎপাদন হয় বছরে গড়ে সাড়ে তিন কোটি মেট্রিক টন। চাল উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের তৃতীয় অবস্থানে।
সূত্র মতে, ২০১৯ সালে দেশে চাল উৎপাদন হয় ৩ কোটি ৬৫ লাখ মেট্রিক টন। ২০২০ সালে ৩ কোটি ৭৪ লাখ মেট্রিক টন এবং ২০২১ সালে ৩ কোটি ৭৮ লাখ মেট্রিক টন।
তবে বৈরী আবহাওয়া ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে মাঝে মধ্যে দেশে চাল আমদানির প্রয়োজন হয়। কিন্তু কিছু আমদানিকারক সারা বছর ধরে চাল আমদানি করেন। এতে ভরা মৌসুমে চাল আমদানির কারণে চাষিরা ন্যায্যমূল্য না পেয়ে আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়। এতে সরকার চাষিদের বাঁচাতে চাহিদা মতো চাল আমদানিতে আমদানিকারকদের তালিকা ও চাল আমদানির পরিমাণ নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেয়।
একজন চাল আমদানিকারক জানান, সরকারি চুক্তি অনুযায়ী ৩০ অক্টোবর চাল আমদানির সময় শেষ হচ্ছে। ৩১ অক্টোবর থেকে আর আমদানি করা যাবে না। তবে এখনও প্রবেশের অপেক্ষায় ভারতে চালের ট্রাক সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার জানান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ব্যবসায়ীরা চাল আমদানি করতে পারবেন। পরবর্তী নির্দেশ না এলে ৩১ অক্টোবর থেকে কোনো চালের ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করবে না। ওপারে এখন কয়েকজন ব্যবসায়ীর চালের ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে বলে জানতে পেরেছেন।