বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ নভেম্বর, ২০২১ ০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪৮৩ বার
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগামী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর গণতন্ত্র সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছেন। ভার্চুয়াল সম্মেলনে বিশ্বের ১০০টির বেশি দেশের নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। যদিও আমন্ত্রিত দেশগুলোর তালিকা গোপন রাখা হয়েছে। তবে পলিটিকো ম্যাগাজিন একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। এতে আমন্ত্রিত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের নাম নেই। পলিটিকোর তালিকা চূড়ান্ত কিনা তা নিশ্চিত নয় ঢাকা। তাই বাংলাদেশের তরফে চূড়ান্ত তালিকার খোঁজ করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর বাইডেন পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ে তার প্রথম ভাষণে গণতন্ত্র সম্মেলন আয়োজনের অঙ্গীকার করেন। বিশ্বব্যাপী রাশিয়া ও চীনসহ গোটা বিশ্বে কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিস্তার ঘটার পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সম্মেলনের আয়োজন করছেন।
চলতি বছরের ডিসেম্বরে আমন্ত্রিত দেশগুলোর নেতারা গণতন্ত্র, ব্যক্তিগত ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, মানবাধিকার বিষয়ে তাদের অঙ্গীকার ব্যক্ত করবেন। এক বছর পর ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এসব ক্ষেত্রে অগ্রগতি যাচাই করতে আরেকটি ফলোআপ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। মহামারি পরিস্থিতির উন্নতি হলে দেশগুলোর নেতাদের সশরীরে আমন্ত্রণ জানানো হবে।
জানতে চাইলে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা বুধবার যুগান্তরকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আমন্ত্রিত দেশগুলোর তালিকা প্রকাশ করেনি। পলিটিকোর তালিকা সঠিক কিনা তা নিশ্চিত নয়। ভার্চুয়াল সম্মেলনের তালিকা এক সপ্তাহ আগে পর্যন্ত পরিবর্তন হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের দূতাবাস চূড়ান্ত তালিকা জানার চেষ্টা করছে।’
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘চলতি বছরের ডিসেম্বরে ভার্চুয়াল সম্মেলনে সব দেশকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে না। ফলে আগামী বছরের সশরীরে উপস্থিত সম্মেলনে এবার বাদ পড়া দেশগুলোকে আমন্ত্রণ জানাতেও পারে। এসব বিষয়ে বিস্তারিত আমরা এখনো জানি না।’
ডোনাল্ড ট্রাম্প বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে আগ্রহী ছিলেন না। এ কারণে বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। বাইডেনের সম্মেলনে আমন্ত্রণ তালিকা নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে। ফ্রান্স, সুইডেনের মতো পরিপক্ব গণতন্ত্রের দেশ যেমন আমন্ত্রণ পেয়েছে; ফিলিপাইন, পোল্যান্ডের মতো দেশ যেখানে গণতন্ত্র হুমকির মধ্যে পড়েছে তারাও আমন্ত্রিত হয়েছে। এশিয়ায় জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া আমন্ত্রিত হলেও থাইল্যান্ডকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগী মিসর আমন্ত্রণ পায়নি। আমন্ত্রণ পায়নি ন্যাটোভুক্ত তুরস্ক।
আমন্ত্রিত দেশের তালিকা কীসের ভিত্তিতে করা হচ্ছে সেটা স্পষ্ট নয়। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সূত্রের বরাতে বলা হচ্ছে, আমন্ত্রণের তালিকা গণতন্ত্রের মানদণ্ড নয়। বিশ্বের ভৌগোলিক অঞ্চলের মধ্যে সুষম এবং বৈচিত্র্যের বিবেচনায় তালিকা করা হচ্ছে। কোন দেশ কীভাবে গণতন্ত্রের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে সেই অভিজ্ঞতা জানা সম্মেলনের অন্যতম উদ্দেশ্য। কেউ কেউ আবার যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করছে। তাদের ভাষায়, ট্রাম্প গত নিবূাচনের ফলাফল মানেননি। এতে যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রও প্রশ্নাতীত নয়।