ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২ ডিসেম্বর, ২০২১ ২১:৫৪ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫১৩ বার
বিশ্ব অভিবাসন প্রতিবেদন ২০২২-অনুসারে, বাংলাদেশ অস্টম বৃহত্তম রেমিটেন্স গ্রহণকারী দেশ এবং ছষ্ঠ বৃহত্তম অভিবাসী প্রেরণকারী দেশ।
জাতিসঙ্ঘের অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) ওপর বুধবার তার ফ্ল্যাগশিপ ওয়ার্ল্ড মাইগ্রেশন রিপোর্ট ২০২২-প্রকাশ করেছে। যাতে দেখা যায়-দুর্যোগ, সংঘর্ষ ও সহিংসতায় অভ্যন্তরিণ বাস্তুচ্যুতি নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এমন একটি সময়ে যখন কোভিড-১৯-এর কারণে ভ্রমণে সীমাবদ্ধতায় বিশ্বব্যাপী গতিশীলতা স্থবির হয়ে পড়েছে।
প্রতিবেদনটি গত দুই বছরের অভিবাসনের অগ্রগতির ওপর নজর দিয়ে ঐতিহাসিক এবং সমসাময়িক কারণগুলো বিবেচনায় নিয়ে বিশ্লেষণ প্রদানের ওপর জোর দেয়া হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালে বিশ্বে প্রায় ২৮১ মিলিয়ন আন্তর্জাতিক অভিবাসী ছিল।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২০ সালে ৭.৪০ মিলিয়ন বাংলাদেশী অভিবাসী বাস করত বিদেশে। দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বসবাস করা সত্ত্বেও বাংলাদেশের প্রবাসীরা দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে।
বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী বিদেশে বাংলাদেশী জনগোষ্ঠী দেশে ২০১৯ সালে ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি পাঠিয়েছে, এর ৭৩ শতাংশ এসেছে উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ (জিসিসি) দেশগুলোতে কর্মরতদের থেকে।
এই রেমিটেন্স জিডিপির ৬.০ শতাংশেরও বেশি, যা কিনা দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদেশী আয়ের উৎসের প্রতিনিধিত্ব করে।
নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে প্রচেষ্টায় উৎসাহিত এবং সহজতর করায় রেমিটেন্স বৃদ্ধিতে ব্যাপকভাবে সহায়তা করেছে।
বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০১৯ সালের ঊর্ধ্বসীমা তিনগুণেরও বেশি বাড়িয়েছে নগদ প্রণোদনা স্কিম-যার মাধ্যমে রেমিটেন্স সুবিধাভোগীরা অনুমোদিত সিস্টেম ব্যবহার করে স্থানান্তরের ওপর প্রতি ২.০ শতাংশ বোনাস পান।
এছাড়া, কিছু বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিটেন্স প্রেরণ উৎসাহিত করতে অতিরিক্ত এক শতাংশ ইনসেনটিভ প্রদান করছে।
সূত্র : বাসস