ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর, ২০২১ ২২:৫৮ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪৪৬ বার
প্রয়াত হলেন চীনের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ। শিনজিয়াং উইঘুর প্রদেশের একটি গ্রামে থাকতেন অলিমিহান সেয়িতি নামের ওই বৃদ্ধা।
বেজিংয়ের সরকারি হিসেব মতে, তার জন্ম ১৮৮৬ সালের ২৫ জুন। অর্থাৎ তার বয়স হয়েছিল ১৩৫ বছর।
২০১৩ সালে ‘চায়না অ্য়াসোসিয়েশন অফ গেরেনটোলজি অ্যান্ড জেরিয়াট্রিকস’ চীনের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষদের যে তালিকা প্রকাশিত করেছিল তাতে দেখা গিয়েছিল শীর্ষে রয়েছে ওই মহিলার নাম। অবশেষে প্রায় দেড় শতকের জীবনশেষে শেষ নিঃশ্বাস ত্য়াগ করলেন বৃদ্ধা।
কিন্তু কী করে তিনি পেলেন এই দীর্ঘ জীবন? এই বিরাট আয়ুর রহস্য কী?
তার আপনজনদের বক্তব্য, সাধারণ ও সরল জীবনযাপনই এই আশ্চর্যের উৎস। তিনি সব সময়ই সময়তো খাবার খেতেন। রোদে গা শেকতেও পছন্দ করতেন। এই বয়সেও নাতি-পুতিদের সামলাতেন অক্লেশে। জীবনকে উপভোগ করতেন চুটিয়ে। এত বছরেও অসুখ বিসুখ সেভাবে জাকিয়ে বসতে পারেনি শরীরে। তার দীর্ঘায়ু হওয়ার পিছনে এই অনাড়ম্বর ও আনন্দময় জীবনযাপনকেই প্রধান চাবিকাঠি বলে মনে করা হচ্ছে।
সেই সাথে আলাদা করে মনে করা হচ্ছে, কোমবসরিক টাউন অর্থাৎ যেখানে তিনি থাকতেন সেই জায়গার আলো-জলেরও বোধহয় কোনো ক্ষমতা রয়েছে। এই শহরের আরেক নাম ‘দীর্ঘায়ুদের শহর’। এখানে নবতিপর অর্থাৎ ৯০ পেরনো অসংখ্য মানুষ বসবাস করেন। যদিও তাঁদের মধ্যেও নতুন নজির গড়লেন অলিমিহান সেয়িতি। ওই শহরের ষাটোর্ধ্বদের চিকিৎসা তো বটেই, বাৎসরিক শারীরিক পরীক্ষাও করা হয় সরকারি তরফে। সেই সঙ্গে মাসিক ভাতা ও অন্যান্য সুযোগসুবিধাও দেয়া হয়। ফলে তুলনামুলক ভাবে অনেকটাই স্বাচ্ছন্দ্য পান বয়স্ক মানুষেরা। যা তাদের দীর্ঘায়ু হওয়ার পথকেই প্রশস্ত করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন