ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২ জানুয়ারী, ২০২২ ০৮:৩০ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪৭৭ বার
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হবার পর জো বাইডেনের এখনো এক বছর পার হয়নি কিন্তু দিন দিন কমছে তার জনপ্রিয়তা । সাম্প্রতিক জনমত জরিপগুলোতে দেখা যায়, বাইডেনের ব্যাপারে মার্কিন ভোটারদের সমর্থন বা এ্যাপ্রুভাল রেটিং গত কয়েক মাস ধরেই ৪০ শতাংশের কোঠায় ওঠানামা করছে।
তারা মনে করছেন জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হবার পর তিনি সমাজে কোনো অর্থবহ পরিবর্তন আনতে পারেননি । ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে অনেক প্রত্যাশা জাগিয়ে যে বাইডেন প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন-তাকে নিয়ে কেন আমেরিকান ভোটাররা হতাশ?
বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাজলি কিবরিয়া বলছিলেন, আফগানিস্তান থেকে বিশৃংখলভাবে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার থেকে শুরু করে করোনাভাইরাস মহামারি, তেল ও জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়া-এরকম বেশ কয়েকটি কারণে লোকে জো বাইডেনের ব্যাপারে হতাশ হয়ে পড়েছে। বাইডেন যেভাবে এসেছিল-একটা বিরাট আশা নিয়ে যে ট্রাম্প তো গেল-এখন আমরা অন্য ধরনের দেশ, পলিটিক্স, পলিসি দেখবো। কিন্তু ঠিক যেটা সবাই আশা করছিল-ওরকম হয়নি। এখনো কিছু হয়নি।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সির শেষ দিনগুলোয় কংগ্রেস ভবনে টাম্প সমর্থকদের নজিরবিহীন আক্রমণের ঘটনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ ছিল উত্তাল।
এক দিকে করোনাভাইরাস মহামারিতে যুক্তরাষ্ট্র বিপর্যস্ত, অন্যদিকে ক্রমবর্ধমান সামাজিক বিভেদ, অসাম্য, আর বর্ণবাদী উত্তেজনা, তার ওপর আমেরিকান গণতন্ত্রের একেবারে কেন্দ্রে এই আক্রমণ-সব মিলিয়ে এক চরম অনিশ্চিত অবস্থার মধ্যে, অনেক প্রত্যাশা জাগিয়ে-প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন জো বাইডেন। কিন্তু এখন তার সমর্থকরাই হতাশ যে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ভালো করতে পারছেন না। এমনকি ডেমোক্র্যাটিক পার্টিকে যারা প্রায় চিরকাল ভোট দিয়ে এসেছে-সেই কৃষ্ণাঙ্গ, লাতিনো, নারী এবং তরুণ জনগোষ্ঠী-তারাই বাইডেনের প্রেসিডেন্সি নিয়ে হতাশ এবং ক্ষুব্ধ। তারা বলছেন, বাইডেনের দেয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ হচ্ছে না, অর্থবহ কোনো পরিবর্তন সমাজে আসেনি।
কেন এই হতাশা? ইলিনয় স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতির অধ্যাপক আলি রীয়াজ বলছেন এর কারণ একাধিক।
তিনি বলছেন, "চারটা প্রধান কারণ। তার মধ্যে প্রথম যেটা তা হলো সাম্প্রতিক কালে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, বা গ্যাসের অর্থাৎ তেলের মূল্যবৃদ্ধি। সেটা একটা বড় বিষয়, দ্বিতীয় কারণ হলো কোভিডটা যেভাবে নিয়ন্ত্রিত হবে বলে আশা করা হয়েছিল, নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট আসার কারণে সেটা নিয়ন্ত্রণ ঠিক যথাযথ ভাবে হচ্ছে না। তার একটা কারণ হচ্ছে রিপাবলিকান দলের অনেক কট্টরপন্থী সমর্থক সেভাবে টিকা নিচ্ছেন না। তিন নম্বর হচ্ছে আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার প্রসঙ্গ, আর চতুর্থ হচ্ছে-দলের ভেতরে এক ধরনের অনৈক্য সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে সেনেটে দুজন সদস্য-জো মানচিন এবং ক্রিসটেন সিনেমার ভুমিকা বড় বড় বাধা তৈরি করছে। ফলে নতুন কোন পদক্ষেপ নেয়া যাচ্ছে না যা তার সমর্থকরা দেখতে পাচ্ছেন। ফলে এই সমস্ত বিষয় মিলে প্রত্যাশার চেয়ে কম প্রাপ্তি এ হতাশা তৈরি করেছে। তবে অন্য কেউ কেউ বলছেন ভিন্ন কথা। এরা মনে করেন বাইডেনের সমর্থকরা হতাশ-কারণ তারা আসলে বড় বেশি আশা করে ফেলেছিলেন।
টেক্সাসের এ এণ্ড এম ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মেহনাজ মোমেনের মতে-অনেকেই ভুলে যাচ্ছেন যে জো বাইডেন খুব বড় কোনো পরিবর্তন আনার জন্য প্রেসিডেন্ট হননি। আমাদের দেখতে হবে বাইডেন প্রার্থী হিসেবে কি প্রমিজ করেছিলেন।
তিনি বলেছিলেন-নাথিং উইল ফান্ডামেন্টালি চেঞ্জ। উনি কিন্ত এটা পালন করেছেন। ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে থেকে তাকে প্রার্থী করা হয়েছিল কারণ তাকে মনে করা হয়েছিল সবচেয়ে ইলেকটেবল-এ জন্য নয় যে তিনি যা করতে চান সেটাই সবাই চায়। আর অর্থনীতির সমস্যার মূল কারণ যে অথনৈতিক বৈষম্য তা তো অনেকদিন ধরেই বেড়ে চলেছে। কিন্তু কোভিডের কারণে বৈষম্য এখন এমন পর্যায়ে চলে গেছে, এত ট্যানজিবল হয়ে গেছে যে-আমি এ দেশে ২০ বছর ধরে আছি, কখনো এখানকার মিডিয়ায় অর্থনীতি নিয়ে এমন নেগেটিভ কথাবার্তা শুনিনি। কারণ সাধারণ মানুষের কষ্টটা এখন এমন পর্যায়ে যে, তা একেবারে অসহনীয় অবস্থায় চলে গেছে।
ডেমোক্র্যাটদের যারা সনাতনী ভোটার-যেমন তরুণরা-তারা কী চেয়েছিলেন, এবং কী হবার কথা ছিল-যা হয়নি? একটি উদাহরণ দিলেন মেহনাজ মোমেন।
"আমি আপনাকে একটা কংক্রিট উদাহরণ দেই। তরুণরা যাদের একটা বড় ইস্যু স্টুডেন্ট ডেট-বা উচ্চশিক্ষার জন্য ছাত্ররা যে ঋণ নেয়। বাইডেন আসার পর ইনফ্রাস্ট্রাকচার বিল, বিল্ড ব্যাক বেটার-এসব উদ্যেগের মধ্যে প্রভিশন ছিল এই ঋণ মাফ করার। কিন্তু খুব কম পরিমাণ ঋণ মাফ করা হয়েছে। তা ছাড়া কিস্তি দেয়ায় যে সাময়িক বিরতি ছিল-তা আবার জানুয়ারি থেকে দিতে হবে। এ অবস্থায় তরুণ ভোটারদের মনে হতেই পারে যে আমরা এত উৎসাহ নিয়ে ভোট দিলাম, একটা ডেমক্র্যাটিক সরকার আনলাম, কিন্তু আমাদের যে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল-তা তো পূরণ হলো না।"
নাজলী কিবরিয়া বলছিলেন , প্রেসিডেন্ট তার সোশাল রিফর্ম প্যাকেজ নিয়ে এগুতে পারছেন না। একটা কথা হচ্ছে যে এখনো তো কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাটদের যে মেজরিটি আছে তা খুব কম। অনেক কিছু ওরা পাস করতে পারছে না। আর বাইডেন মনে হয় করোনাভাইরাস আর ইকনমি, ইনফ্লেশন-এগুলো নিয়ে এত ব্যস্ত যে তা বড় রকমের সোশাল রিফর্ম যেগুলো করার কথা ছিল-ইমিগ্রেশন, সিভিল রাইটস-এগুলো নিয়ে সে সেরকম কিছু করতে পারেনি।
বড় আকারের অবকাঠামো প্রকল্পগুলো যেগুলো কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্য নিয়ে করা হয়েছিল-সেগুলোর একটি পাস হলেও অন্যটি এখনো কংগ্রেসে আটকে আছে। এর দায়ও এসে পড়েছে মি বাইডেনের ঘাড়ে-বলছিলেন মেহনাজ মোমেন।
তিনি বলেন, "এই একই জিনিস আমরা ওবামা আমলে দেখেছি। ওবামা যখন নির্বাচিত হন তখনো কংগ্রেসে, সেনেটে ডেমোক্র্যাটদের ভালো প্রাধান্য ছিল। কিন্তু ওই সময়ও তারা কোন পলিসি পাস করতে পারেনি। যে বাধাগুলো আসছে-রিপাবলিকানদের দিক থেকে যতখানি আসছে তার চেয়ে দুজন ডেমোক্র্যাট সদস্য জো মানকিন এবং ক্রিসটেন সিনেমা-তারা এ বাধাটা সৃষ্টি করছে। তারা সাংঘাতিক কনসারভেটিভ এবং তারা যা বলছে তার সাথেই সমঝোতা করে চলতে হচ্ছে। এটা তো প্রেসিডেন্ট এবং ডেমোক্র্যাটিক পার্টি দুজনেরই ব্যর্থতা। এরকম কেন হবে? সংখ্যাগরিষ্ঠ অবস্থাতেই যদি তারা বলে যে আমরা পারছি না-তাহলে তাদেরকে আমরা কেন নির্বাচন করবো?"
একটা প্রত্যাশা ছিল যে এসব কর্মসূচি নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের ধারা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নিয়ে আসা যাবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে যেমন তেমনি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও-যুক্তরাষ্ট্রকে এক নতুন দিকনির্দেশনা দেবার ক্ষেত্রে বাইডেন খুব হুঁশিয়ার হয়ে এগুচ্ছেন।
অধ্যাপক আালি রীয়াজ অবশ্য বলছেন, এ সতর্কতার দরকার আছে। কারণ নাটকীয় কোন পরিবর্তন আনতে গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
"পূর্ববর্তী চার বছরে ট্রাম্প প্রশাসনের নেয়া পদক্ষেপগুলো অকার্যকর করে দেয়ার প্রত্যাশা হয়তো ছিল-কিন্তু সেটার কতগুলো বাস্তব সমস্যাও আছে। মনে রাখতে হবে ট্রাম্পের সমর্থক আছে, সর্বোপরি রিপাবলিকান পার্টির একটা বড় অংশ এখনো ট্রাম্পকে সমর্থন করে। ফলে সতর্ক থাকাই স্বাভাবিক। কিছু কিছু বিষয় জাতীয় স্বার্থ এবং ভূ-রাজনৈতিক বিবেচনাতেই বাইডেনকে অব্যাহত রাখতে হচ্ছে।
"যেমন ধরুন চীনের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে সহজেই দেখতে পাবেন যে ট্রাম্পের নীতিরই এক ধরনের কন্টিনিউইটি আছে। এগুলো আস্তে আস্তে পারিবর্তন করার চেষ্টা হচ্ছে। যেমন ইরানের সাধে আলোচনার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। তিনি কঠোর অবস্থান নিয়েছেন রাশিয়ার ব্যাপারেও-যেটা আসলে ট্রাম্পের সময় নেয়া হয়নি। নেটোকে শক্তিশালী করার চেষ্টা হচ্ছে। পুতিনের সাথে দীর্ঘ কয়েক ঘন্টার আলোচনা করেছেন বাইডেন । ইউক্রেন প্রশ্নে খুব স্পষ্টভাবে যুক্তরাষ্ট্র একটা অবস্থান নিয়েছে-যেটা অতীতে ছিল না। এই পরিবর্তনগুলো আমরা দেখতে পাচ্ছি।"
একই রকমের হতাশা তৈরি হয়েছে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিসকে নিয়েও । শুধু সাধারণ আমেরিকানরাই নন, এমন কি তার স্টাফদেরও অনেকে প্রশ্ন তুলছেন তার কাজ ও নেতৃত্বের স্টাইল নিয়ে।
"এটা নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করছে। প্রথমে যখন বাইডেন-হ্যারিস এলো, সবাই মনে করেছিল যে কমালা হ্যারিসের খুব নাম দেখা যাবে। কিন্তু গত এক বছরে কোন পলিসিতে তার কোন লিডারশিপ-বা তার কোন প্রভাব-দেখা যাচ্ছে না।"-বলছেন নাজলী কিবরিয়া।
আলি রীয়াজ বলছেন, "মনে রাখতে হবে কমালা হ্যারিস একজন নারী। একধরনের নারী-বিদ্বেষী মনোভাব, প্রচার-এ তো আছেই। কিন্তু প্রচারগুলো যেভাবে হয়, যে প্রেসিডেন্টের সাথে তার ভিন্নমত আছে ইত্যাদি, বা তিনি যথেষ্ট কাজ করছেন না-এগুলো আসলে অতিরঞ্জিত। আর অনেকে অনুমান করছেন যে দ্বিতীয় মেয়াদে বাইডেন হয়তো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না, এবং কমলা হ্যারিস সম্ভবত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হবেন। এসমস্ত অংক শুরু হয়েছে, এজন্য এসমস্ত প্রচার-প্রচারণা আছে। "
বিপুল ভোট পেয়ে নির্বাচনে জিতলেও ক্ষমতাসীন হবার পর সব মার্কিন প্র্রেসিডেন্টই কিছুটা জনপ্রিয়তা হারান- এটা আগেও অনেকবার দেখা গেছে। বাইডেনের ক্ষেত্রেও হয়তো তাই হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু আসল প্রশ্ন হলো-২০২২ সালে হাউজ ও সেনেটের আসনগুলোর যে মধ্যবর্তী নির্বাচন হবে-তার আগে বাইডেন তার হারানো জনপ্রিয়তা ফিরে পাবেন কিনা।
মেহনাজ মোমেন ও আলি রীয়াজ দু'জনেই বলছেন, এ ক্ষেত্রে মি. বাইডেনের সামনে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ দেখা যাচ্ছে। অধ্যাপক মেহনাজ মোমেনের মতে, যত সময় যাচ্ছে ততই এটা কঠিন হয়ে পড়বে।
"এখন যদি হঠাৎ ইকনমি ভালো হয়ে গেল, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এসে গেল, আমরা আর কোভিড নিয়ে কথা বলছি না এরকম ধরনের একটা অবস্থা হলে হয়তো একটা টার্নঅ্যারাউণ্ড হতে পারে, কিন্তু আপাতদৃষ্টিতে কোন আমূল পরিবর্তন না হলে আমার মনে হয় টার্নঅ্যারাউন্ড খুব কঠিন হবে।"
অধ্যাপক আলি রীয়াজ বলছেন, "এখানে তিনটি বিষয় আছে। একটা হলো যে দলের প্রেসিডেন্ট থাকেন, সে দলের মধ্যবর্তী নির্বাচনের ফলাফল সাধারণতঃ ভালো হয় না। তা ছাড়া গত নির্বাচনের পর অন্তত কুড়িটি অঙ্গরাজ্যে ভোটারদের বিভিন্ন রকম সুযোগসুবিধা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে, সে বিষয়ে আইন পাস করা হয়েছে। এগুলোর ফলে বিপুল পরিমাণ ডেমোক্রেটিক পার্টির সমর্থকের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়বে। ফলে ভোট কমতে পারে। তৃতীয় চ্যালেঞ্জ যেটা-সাধারণ মানুষের জীবনমানের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে এমন যেসব পদক্ষেপ মি. বাইডেন নেবার চেষ্টা করেছিলেন-সেগুলো রিপাবলিকান পার্টির কারণে এবং ডেমোক্র্যাটদের একটা ক্ষুদ্র অংশের কারণে, আটকে যাচ্ছে। এগুলো ডেমোক্র্যাটিক পার্টির জন্য চ্যালেঞ্জ, বড় রকমের চ্যালেঞ্জ। তবে একটা বিষয় আপনাকে মনে রাখতে হবে। এর পেছনে আবার একটা ইতিবাচক দিক আছে। সেটা কি? এমনকি মধ্যবর্তী নির্বাচনেও ট্রাম্পের ছায়া আমরা দেখতে পাবো। তিনি রাজনীতিতে আছেন, এবং প্রশ্নটা শেষ পর্যন্ত এরকম হয়ে দাঁড়াতে পারে যে-কংগ্রেসে রিপাবলিকান পার্টিকে সংখ্যাগরিষ্ঠ করা মানে ট্রাম্পকে শক্তিশালী করা। আমরা কি ট্রাম্পকে শক্তিশালী করতে চাই? নাকি চাই না? এভাবে যদি প্রশ্নটা উত্থাপিত হয় এবং সেটা যদি ডেমোক্র্যাটরা কাজে লাগাতে পারে-তাহলে ডেমোক্র্যাটদের ভালো করার সুযোগ আছে। কিন্তু চ্যালেঞ্জ আছে-বড় রকমের চ্যালেঞ্জ"-বলছেন অধ্যাপক রীয়াজ।
কংগ্রেস ও সেনেটের আসনগুলোর মধ্যবর্তী নির্বাচন হবে ২০২২ সালের নভেম্বরে । অর্থাৎ এখন থেকে এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে।
বাইডেন সমর্থকরা বলছেন যে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে এলে এবং উন্নয়ন কর্মসূচিগুলো বাস্তবায়ন করা গেলে তাদের প্রতি ভোটারদের এই হতাশা কেটে যাবে, এবং বাইডেনের জনপ্রিয়তাও বাড়বে।
এখন এটাই দেখার অপেক্ষা যে নতুন বছরে তা ঘটে কি না।
সূত্র : বিবিসি