ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর, ২০২২ ১৯:৪৭ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩২০ বার
বিএনপির মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গুয়েন লুইসকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, আমি সংক্ষেপে বিএনপির মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টিও তার কানে তুলেছি, তিনি তা শুনেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গুয়েন লুইসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১১ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ‘মানবাধিকার সংরক্ষণে মিডিয়ার ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হবে। জাতিসংঘ ও সুইস দূতাবাসের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে আমাকে আমন্ত্রণ জানাতে এসেছিলেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নয়াপল্টনে নিজেদের অফিসের সামনে সমাবেশ করা বিএনপির একটা হীন উদ্দেশ্য। বড় সমাবেশ কখনো রাস্তায় হয় না। রাস্তায় বড় সমাবেশ করা অনুচিত। এতে জনগণের দুর্ভোগ হয়।
নয়াপল্টনের সামনে ৩০ থেকে ৫০ হাজার মানুষের জায়গা হয় জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, পুরো এক কিলোমিটার রাস্তা জুড়েও যদি মানুষ বসে, তাহলে ৫০ হাজারের বেশি নয়। অথচ সেখানে তারা সমাবেশ করতে চায়, এর মানে আসলে তারা জানে যে, কত লোক হতে পারে।
তিনি বলেন, তাদের লোক যে ৩০ থেকে ৫০ হাজারের বেশি হবে না এটা তারা আগে থেকেই জানে। সেটিও যদি হয়, কোনো অবস্থাতেই একটি ব্যস্ত রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করা উচিত নয়। নয়াপল্টনে সমাবেশ করার ওপর জোর দেওয়ার মাধ্যমে তারা এটিই প্রমাণ করছে, প্রথমত তারা শঙ্কিত, তাদের ওখানে লোক হবে না। দ্বিতীয়ত রাস্তায় সমাবেশ করলে গণ্ডগোল করতে সুবিধা হয়।
এই দুই উদ্দেশ্যে বিএনপি নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চায় বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক। সরকার গণ্ডগোল করার অনুমতি কাউকে দিতে পারে না বলেও সাফ জানিয়ে দেন তিনি। তিনি বলেন, প্রশাসন তো গণ্ডগোল করার অনুমতি কাউকে দিতে পারে না। সমাবেশ করার অনুমতি দিতে পারে। গণ্ডগোল করার উদ্দেশ্যে কোনো সমাবেশের অনুমতি তো সরকার দিতে পারে না।