ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৮:৪৫ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩৬৫ বার
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় ৫০ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে বিএনপি।
রোববার (১৮ ডিসেম্বর) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এই দাবি করেন।
মোশারফ হোসেন বলেন, ৭ ডিসেম্বর বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশি হামলার পর পুলিশের ছত্রছায়ায় ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীরা বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢুকে বিভিন্ন কক্ষ ভাংচুর ও মালামাল লুটে অংশ নেয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। সে সময় অফিস থেকে ল্যাপটপ, কম্পিউটার, হার্ডডিক্স, নথিপত্র, ব্যাংকের কাগজপত্র, নগদ অর্থ লুট করা প্রকৃত পক্ষে একটি ডাকাতির ঘটনা।
তিনি বলেন, এই ঘটনায় নগদ অর্থসহ ক্ষতি ও লুট হওয়া সম্পদের পরিমাণ আনুমানিক পঞ্চাশ লাখ বিরাশি হাজার পাঁচশত (৫০,৮২,৫০০/-) টাকা। কোনো অফিস বা গৃহ তল্লাশির সময় মালিকপক্ষ এবং নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের সাক্ষী হিসাবে রাখার সাধারণ আইন অগ্রাহ্য করে পুলিশ যা করেছে তা হানাদার বাহিনীর আচরণকে স্মরণ করিয়ে দেয়। আমরা এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ঘটনায় জড়িত পুলিশের কর্মকর্তা ও সদস্যদের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ তদন্ত ও বিচার দাবি করছি। একই সাথে আমরা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য মির্জা আব্বাসসহ গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি ও বানোয়াট মামলা সমূহ প্রত্যাহারের দাবি করছি।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ৭ ডিসেম্বর নয়াপটনে হামলার ঘটনা তদন্ত ও বিবেচনা করে মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বিএনপি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, ডাক্তার এ জেড এম জাহিদ হোসেন, মোহাম্মদ শাহজাহান, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মুয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ইমরান সালেহীন প্রিন্স, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহিরুদ্দিন স্বপন ও বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দীন দিদার ও শায়রুল কবির খান প্রমুখ।