ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৪ মে, ২০২৩ ১৭:৩০ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ২৭৪ বার
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের দেওয়া এক বক্তব্য প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের নজরে এনেছেন ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম।
আজ বুধবার বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বিভাগের ডায়াসে দাঁড়ান ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম।
এ সময় তিনি গত রোববার বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে দেওয়া মেয়র তাপসের বক্তব্য নিয়ে করা পত্রিকার প্রতিবেদন পড়ে শোনান। আদালতে এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনসহ সিনিয়র আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় প্রকাশিত শেখ ফজলে নূর তাপসের বক্তব্য তুলে ধরে ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম আদালতে বলেন, ‘তিনি বলেছেন, মনটা চায় আবার ইস্তফা দিয়ে ফিরে আসি। যেখানে মুগুর দেওয়ার, সেটাও জানি। একজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম। মশিউজ্জামানকে (বারের গত নির্বাচনের সাব-কমিটির প্রধান) আমরা মনে করতাম, ওরে বাবা, কী জানি ফেরেশতা আসছে! সবচেয়ে বড় চোর হলো মশিউজ্জামান! যেসব সুশীল আমাদের বুদ্ধি দিতে যাবেন, সেসব সুশীলকে আমরা বস্তায় ভরে বুড়িগঙ্গা নদীর কালো পানিতে ছেড়ে দেব…।’
একপর্যায়ে প্রধান বিচারপতি ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলামকে বলেন, ‘ঠিক আছে। আমরা পত্রিকার প্রতিবেদনটা পড়ি, দেখি।’
এ সময় আদালত কক্ষে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের মধ্যে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন, সাবেক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, মাহবুবউদ্দিন খোকন, বদরুদ্দোজা বাদল, রুহুল কুদ্দুস কাজল ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, শাহ আহমেদ বাদল, সৈয়দ মামুন মাহবুব, আবেদ রাজা, মোহাম্মদ আলী, মো. আক্তারুজ্জামানসহ শতাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।
একপর্যায়ে আদালত থেকে বের হয়ে ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, আমরা মানবজমিনের লিড নিউজটি আপিল বিভাগের নজরে এনেছি। বলেছি, তার বক্তব্য ঔদ্ধত্যপূর্ণ। বিচার বিভাগ, সিনিয়র আইনজীবী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে অশালীন বক্তব্য দিয়েছেন। আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিয়েছেন। আপিল বিভাগের নজরে এনেছি। আদালত পত্রিকা দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন বলেছেন। আশা করি, প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ বিষয়টি দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন।