ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ৩১ মে, ২০২৩ ১৫:৩৭ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩০১ বার
দানের বিপরীতে ধার্য করা প্রায় সাড়ে ১৫ কোটি টাকা কর দাবি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের করা তিনটি আয়কর রেফারেন্স মামলা খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে তাকে আয়করের প্রায় সাড়ে ১৫ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে।
বুধবার বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
এর আগে দানের বিপরীতে ধার্য করা প্রায় সাড়ে ১৫ কোটি টাকা আয়কর চেয়ে এনবিআরের পাঠানো নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ড. ইউনূসের করা পৃথক তিনটি মামলার শুনানি শেষ হয়। এনবিআরের ওই নোটিশগুলোর বৈধতা নিয়ে রায়ের জন্য আজ ৩১ মে দিন ধার্য ছিল। এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে গত ২৩ মে সংশ্লিষ্ট হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
জানা যায়, এনবিআর ১৯৯০ সালের দানকর আইন অনুযায়ী ২০১১-১২ করবর্ষে মোট ৬১ কোটি ৫৭ লাখ ৬৯ হাজার টাকা দানের বিপরীতে প্রায় ১২ কোটি ২৮ লাখ ৭৪ হাজার টাকা কর দাবি করে নোটিশ পাঠায়। একইভাবে ২০১২-১৩ করবর্ষে ৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা দানের বিপরীতে প্রায় এক কোটি ৬০ লাখ টাকা দানকর দাবি করে আরেকটি নোটিশ দেয় এনবিআর। এ ছাড়া ২০১৩-১৪ করবর্ষে ৭ কোটি ৬৫ হাজার টাকা দানের বিপরীতে প্রায় এক কোটি ৫০ লাখ টাকা কর দাবি করে নোটিশ দেওয়া হয়। দানের বিপরীতে কর দাবির এসব নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ড. ইউনূস মামলা করেন।
ড. ইউনূসের দাবি, আইন অনুযায়ী দানের বিপরীতে এনবিআর এই কর দাবি করতে পারে না। ২০১৪ সালে তার মামলা খারিজ করে রায় দেন কর আপিল ট্রাইব্যুনাল। পরে পৃথক তিনটি আয়কর রেফারেন্স মামলা করেন হাইকোর্টে। রেফারেন্স মামলার নম্বরগুলো হচ্ছে যথাক্রমে—১০৮/২০১৫, ১০৯/২০১৫ ও ১১০/২০১৫। হাইকোর্ট ২০১৫ সালে প্রাথমিক শুনানি নিয়ে দানকর দাবির নোটিশের কার্যকারিতা স্থগিত করে রুল জারি করেন। এ রুলের ওপর ২৩ মে চূড়ান্ত শুনানি হয়। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন এবং ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান।
পরে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘উনি (ড. ইউনূস) বলেছেন, উনি টাকা দান করেছেন। তাই কর অব্যাহতি পাবেন। আমরা বলেছি, কর অব্যাহতির যেসব কারণ উল্লেখ করা আছে, সেগুলোর মধ্যে উনারটা পড়ে না। উনাকে দানকর দিতে হবে। আদালত শুনেছেন।’