ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ৬ জুলাই, ২০২৩ ১৫:৫৪ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ১৬৩ বার
বক্তব্য দেওয়ায় ৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে ডা. সংযুক্ত সাহার বিরুদ্ধে মানি স্যুট মামলা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৬ জুলাই) ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ মাসুদুল হকের আদালতে হাসপাতালের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক এ মামলা দায়ের করেন। আইনজীবী মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলার কোর্ট ফি বাবদ টাকা জমা দেওয়া হয়েছে। এখন বিবাদী সংযুক্ত সাহার বিরুদ্ধে সমন জারি করা হবে।’
এর আগে গত ২২ জুন বক্তব্য প্রত্যাহার চেয়ে সংযুক্ত সাহাকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়।
লিগ্যাল নোটিশে উল্লেখ করা হয়, সংবাদ সম্মেলনে সেন্ট্রাল হাসপাতালে মাহবুবা রহমান আঁখি ও তার নবজাতকের চিকিৎসা নিয়ে বেশকিছু মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন ডা. সংযুক্ত সাহা। আঁখি তার রোগী নন এবং হাসপাতাল তার সম্পর্কে মিথ্যা বিবৃতি দিয়েছে উল্লেখ করেছেন।
তিনি অভিযোগ করেছেন যে, হাসপাতাল তার কাছ থেকে কোনো সম্মতি নেয়নি এবং প্রশ্ন তোলেন যে, অপারেশনের সময় তিনি উপস্থিত না থাকলে কীভাবে এই ঘটনার জন্য তাকে দায়ী করা যেতে পারে। এসব বক্তব্য শুধু ভিত্তিহীনই নয়, হাসপাতালের সুনামও ক্ষুণ্ণ করছে।
হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শ ছাড়াই তার বাসভবনে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি শর্তাবলি লঙ্ঘন করেছেন এবং এমনভাবে কাজ করেছেন যা হাসপাতালের ব্র্যান্ড এবং সুনামকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
এর আগে সেন্ট্রাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবি করেন আঁখি ও তার নবজাতকের ভর্তি এবং পরবর্তী চিকিৎসা ডা. সংযুক্তা সাহার নির্দেশনাতে হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনে ডা. সংযুক্তা সাহার মোবাইল ফোনটি ফরেনসিক টেস্ট করার দাবিও জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
গত রোববার (২ জুলাই) সেন্ট্রাল হাসপাতালের পরিচালক ডা. এম এবি সিদ্দিক ও ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এমএ কাশেম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাহবুবা রহমান আঁখি সেন্ট্রাল হাসপাতালে আসার আগেই ডা. সংযুক্তা সাহার ড্রাইভার মো. জমিরের সঙ্গে কথা হয়েছে এবং এ বিষয়ে সংযুক্তা সাহাও জানতেন। মো. জমিরের সঙ্গে রোগীর কথোপকথনের রেকর্ড এবং রাত সাড়ে ১০টার পর থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত ওই রোগীর বিষয়ে অধ্যাপক ডা. সংযুক্তা সাহার মোবাইলের কল লিস্ট, হোয়াটসঅ্যাপ এবং মেসেঞ্জারের কথোপকথন ফরেনসিক করে রেকর্ড যাচাই করলে সব স্পষ্ট হয়ে যাবে।
ডা. সংযুক্তা হাসপাতালে না থাকলেও রোগীর চিকিৎসার বিষয়ে তিনি চিকিৎসকদের নির্দেশনা দিয়েছেন উল্লেখ করে আরও বলা হয়, ডা. শাহজাদী আমাদের জানিয়েছেন, অধ্যাপক ডা. সংযুক্তা সাহার সঙ্গে ওই রোগীর বিষয়ে মোবাইলে কথা হয়েছে। এ বিষয়ে সংযুক্তা সাহার মোবাইলটি ফরেনসিক টেস্ট করলে সুস্পষ্ট তথ্য পাওয়া যাবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, নরমাল ডেলিভারি এবং তার রোগীদের জন্য অধ্যাপক ডা. সংযুক্তা সাহার টিম ছিল। তার অনকল ডাক্তার ছিল। অনকল ডাক্তাররাই তার রোগী ডিল করতেন। সেন্ট্রালের ডাক্তাররা ডা. সংযুক্তা সাহা ও তার টিমের নির্দেশনা অনুসারে দায়িত্ব পালন করেন মাত্র। তবে ওই রোগীকে অধ্যাপক ডা. সংযুক্তা সাহার আন্ডারে ভর্তির বিষয়ে প্রশাসন-ম্যানেজমেন্টের কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই।
এতে দাবি করা হয়, মাহবুবা রহমানের স্বামী ইয়াকুব আলী নিজেই বলেছেন, তিনি আনুমানিক ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে হাসপাতালের দায়িত্বরত উপপরিচালক ডা. মাসুদ পারভেজকে এ বিষয়ে অবহিত করেন। এদিকে ইয়াকুব আলী আবার বলছেন, সেন্ট্রাল কর্তৃপক্ষ নাকি বলেছে, অধ্যাপক ডা. সংযুক্তা সাহা আছেন, কিন্তু তার (ইয়াকুব আলীর) এমন বক্তব্যের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।