ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৬:১৬ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ১৬২ বার
পরিবেশ সুরক্ষা আইন অনুযায়ী সুনামগঞ্জের ছাতক থেকে বিপজ্জনক বর্জ্য অপসারণের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
স্থানীয় সরকার সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন সচিব, স্বাস্থ্যসচিব, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ছাতকের নির্বাহী অফিসার, উপজেলা চেয়ারম্যান, ছাতক, গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাও চেয়ারম্যানকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে ৬০ কার্য দিবসের মধ্যে র্বজ্য অপসারণে গৃহীত পদক্ষেপের বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এক রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের হাইকোর্ট মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আইনুন নাহার সিদ্দিকা ও মো. নাজমুল করিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
গত ১৫ জুলাই একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ‘ছাতক: ময়লার দুর্গন্ধে পথচারীরা অতিষ্ঠ’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে এ রিট করেন স্থানীয় বাসিন্দা আইয়ুব করম আলী ও বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) ব্লাস্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাও ইউনিয়নের গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্টের রেলগেট, সুহিতপুর ও নুতনবাজার এবং ছাতক পৌরসোভা ও জাউয়া বাজারের প্রবেশ পথে বর্জ্য পদার্থের স্তূপ রয়েছে, যা মানুষের জন্য বিশেষত স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও জীবনের জন্য ক্ষতিকর এবং এ পরিস্থিতির কারণে প্রতিনিয়ত চরম সমস্যা ও নৈতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হচ্ছে।
এই কারণে সুনামগঞ্জের এসব স্থানে বাংলাদেশ পরিবেশ সুরক্ষা আইন ১৯৯৫ এর অধীনে বাংলাদেশ কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০২১ এর সুষ্ঠু বাস্তবায়নে বিবাদীদের বিধিবদ্ধ দায়িত্ব পালনে ক্রমাগত ব্যর্থতায় সংক্ষুব্ধ হয়ে এ রিট দায়ের করা হয়।