ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২ জুলাই, ২০২৪ ১৬:০৮ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ১০৩ বার
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে স্বৈরাচারী কায়দায় গ্রেপ্তার করে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে বলে মত দিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা ইউএন ওয়ার্কিং গ্রুপ অন আরবিট্রারি ডিটেনশন।
সোমবার জেনেভাভিত্তিক সংস্থাটি বলেছে, তাকে অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী তাকে ক্ষতিপূরণ ও অন্যান্য ক্ষতিপূরণের প্রয়োগযোগ্য অধিকার দেওয়া যথাযথ প্রতিকার হতে পারে।
ওয়ার্কিং গ্রুপ এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে, ইমরান খানকে আটকের কোনও আইনগত ভিত্তি ছিল না। তাকে রাজনৈতিক কারণে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছিল। সুতরাং, শুরু থেকেই, এই বিচারটি আইনের ভিত্তিতে ছিল না এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এটি ব্যবহার করা হয়েছিল।
ওয়ার্কিং গ্রুপ গত ২৫ মার্চ তাদের এই মতামত দিলেও তা প্রকাশ করা হয় সোমবার।
ওয়ার্কিং গ্রুপ অন আরবিট্রারি ডিটেনশন জাতিসংঘের হলেও পাঁচজন স্বাধীন বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে গঠিত দলটির মতামত শোনা বা মানা বাধ্যতামূলক না হলেও গুরুত্বপূর্ণ। তারা বলেছেন, ইমরান খানকে যে আইনি জটিলতায় ফেলা হয়েছে, তা তার ও দলের বিরুদ্ধে ‘দমন-পীড়নের বৃহত্তর অভিযানের’ অংশ।
এতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে ইমরান খানের দলের সদস্যদের গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করা হয় এবং তাদের সমাবেশে বাধা দেওয়া হয়। নির্বাচনের দিন ব্যাপক জালিয়াতি, কয়েক ডজন সংসদীয় আসন চুরির অভিযোগও করা হয়েছে।
পাকিস্তান সরকার এই মতামত সম্পর্কে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি। দেশটির নির্বাচন কমিশন ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
২০২২ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণের পর থেকে ৭১ বছর বয়সী ইমরান খানের বিরুদ্ধে ২০০টিরও বেশি মামলা দেওয়া হয়েছে। গত বছরের আগস্ট থেকে তিনি কারাগারে আছেন। তিনি এসব মামলাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং তাকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখার জন্য তার রাজনৈতিক শত্রুদের দ্বারা পরিকল্পিত বলে অভিহিত করেছেন।