ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৭:৫৭ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ১৫৩ বার
ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি
নওগাঁর ধামইরহাটে আড়ানগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহাজাহান আলী কমল ও বর্তমান আড়ানগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোসাদ্দেকুর রহমানকে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় জনগণ ও ভুক্তভোগীরা।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে এগারোটায় উপজেলা পরিষদ গেটের সামনে নওগাঁ ও জয়পুরহাট যাওয়ার একমাত্র আঞ্চলিক মহাসড়কের উপর দুর্নীতি ও চাঁদাবাজী করার অভিযোগে ভুক্তভোগী পরিবার ও ছাত্র সমাজসহ ওই এলাকার সাধারণ জনগণের আয়োজনে মানববন্ধন করা হয়।
এসময় বক্তারা বলেন, ‘বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরির আশ্বাস দিয়ে সাধারণ জনগণের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন শাহাজাহান আলী কমল ও আড়ানগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোসাদ্দেকুর রহমান। শুধু তাই নয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে একজনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে চাকরি দিয়েছেন অন্যজনকে।’ এসময় ভুক্তভোগী পরিবারসহ কয়েকশ জনগণ তাদেরকে গ্রেফতার ও আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে দেখা যায়।
সেননগর এলাকার ভুক্তভোগী আরিফ হোসেন বলেন, ‘সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শাহাজাহান আলী কমল আমাকে সমাজসেবা অফিসে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ১২ লাখ টাকা নেন। এরপর ওই চাকরির নিয়োগ শেষ হয়ে গেলে পরবর্তীতে আড়ানগর স্কুলে চাকরি দেবেন বলে জানান। সে চাকরির নিয়োগও শেষ হয়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ’পোড়ানগর মাদ্রাসায় অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে আমাকে নিয়োগের আশ্বাস দিয়ে চেয়ারম্যানের বড় ছেলে বাবু আমার কাছে আরও ১৫ লাখ টাকা চায়। কিন্তু ২৫ লাখ টাকার বিনিময়ে ওই চাকরিতে অন্যজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়।’
উজ্জ্বল চন্দ্র রায় বলেন, ‘চেয়ারম্যান মোসাদ্দেকুর রহমান পলাশবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০১৯ সালে চাকরি দেওয়ার কথা বলে পাঁচ লাখ টাকা নেয়। এরপর এখনো পর্যন্ত কোন চাকরি তিনি আমাকে দেননি। চাকরির কথা বললে বারবার আশ্বস্ত করে বাড়িতে ফিরিয়ে দিয়েছেন।’
আড়ানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোসাদ্দেকুর রহমান বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এর কোন ভিত্তি নেই প্রমাণও নেই।’ আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যই একটা পক্ষ এসব কাজ করে বেড়াচ্ছে।’
সাবেক চেয়ারম্যান শাহাজাহান আলী কমলের মোবাইল ফোনের সুইচ বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে উপজেলা পরিষদের নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আসমা খাতুন বলেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি অনুষ্ঠানের জন্য একটু ব্যস্ত ছিলাম। মানববন্ধনের বিষয়ে আমাকে কেউ কিছু জানায়নি। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।