ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৬:০৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৭৬ বার
ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি কিশোর জয়ন্ত কুমার সিংহের (১৫) মরদেহ ৩১ ঘণ্টা পেড়িয়ে গেলেও ফেরত দেয়নি। মরদেহ ফিরে পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে তার পরিবার।
এদিকে পতাকা বৈঠকে জয়ন্তর মরদেহ ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।
এ ঘটনায় নিহত জয়ন্তর বাবা মহাদেব কুমার সিংহ ও নিটালডোবা গ্রামের দরবার আলী নামে অপর এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হন। তারা বর্তমানে রংপুরে একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনার পর জয়ন্তর মরদেহ বিএসএফ নিয়ে যায়। সে লাহিড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে জয়ন্তর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, এলাকাবাসী ও আত্মীয়স্বজন তার বাড়িতে ভিড় করছেন। প্রত্যেকের চোখে-মুখে বেদনার ছাপ। সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা খুঁজে পাচ্ছেন না অনেকে। এদিকে ছেলেকে হারিয়ে শোকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন মা জয়ন্তী রানী। স্বামীর গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবরও তাকে পাথর করে তুলেছে। এখন তার একটাই প্রত্যাশা ছেলের মরদেহ অন্তত ফিরে পাওয়া।
এর আগে সোমবার গভীর রাতে ধনতালা বিজিবি সীমান্তের মেইন পিলার ৩৯৩ এর পাশ দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ কালে ভারতীয় ডিংগাপাড়া বিএসএফ বাহিনী গুলি চালালে জয়ন্ত কুমার সিংহ ভারতের অভ্যন্তরে গুলি বিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। পরে বিএসএফের সদস্যরা তার মরদেহ নিয়ে যায়। এ সময় গুলিতে জয়ন্তের বাবা মহাদেব কুমার সিংহ ও দরবার আলীও আহত হন। পরে তারা বাংলাদেশ সীমান্তে চলে আসেন।
জয়ন্ত বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ফকির ভিঠা গ্রামের শ্রী মহাদেব কুমার সিংহের ছেলে।
ঠাকুরগাঁও ব্যাটালিয়ন (৫০ বিজিবি) ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. তানজির আহমদ বলেন, আমরা সোমবার বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠক করেছি। আজ সন্ধ্যায় অথবা কাল দুপুরে মরদেহ ফেরত দেওয়ার কথা রয়েছে। মরদেহ পেলে আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।