ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১০:২৯ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৬৫ বার
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, তার স্ত্রী মাউশির সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুনসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ১৯৫ জনের নাম উল্লেখ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) কাউসার আহম্মেদ হত্যার ঘটনায় তার চাচা আকরাম হোসেন আদনান বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, ২০২১ সালের ২৭ মার্চ বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার বুধল ইউপির নন্দনপুর বিসিক রাস্তার সামনে সংঘর্ষের ঘটনা ঘঠে। এসময় কাউসার আহম্মেদ নামে একজন নিহত হন। কাউসার আহম্মেদ জেলার সদর উপজেলার বুধল ইউপির বুধল পশ্চিমপাড়া এলাকার আলী আহম্মেদের ছেলে ছিলেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র নায়ার কবির, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম মহিউদ্দিন খোকন, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাক আহম্মেদ ভুঁইয়া, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান রবিউল আলম, মাছিহাতা ইউপি পরিষদের চেয়ারম্যান আল-আমিন পাভেলসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ১৯৫ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ১০০/১৫০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার বাদী আকরাম হোসেন আদনান অভিযোগ করেন, ২০২১ সালের মার্চের ২৬ তারিখ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমন উপলক্ষে বিভিন্ন স্থানে মোদি বিরোধী আন্দোলন হয়। এতে কাউসার আহম্মেদ অংশগ্রহণ করে। ২০২১ সালের ২৭ মার্চ বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার বুধল ইউপির নন্দনপুর বিসিক রাস্তার সামনে সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর নির্দেশে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি ও ককটেল নিক্ষেপ করে। তাদের ছোরা গুলি কাউসারের নাভিতে লেগে গুরুতর আহত হন। পরে কাউসার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৭ মার্চ রাত সাড়ে ৮টার দিকে মারা যান তিনি।
পরে প্রশাসনের নির্দেশে কাউসারের ময়নাতদন্ত না করেই মরদেহ দাফন করতে বাধ্য করে। প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপের কারণে সে সময় কাউসারের পরিবারের লোকজন সাধারণ ডায়েরি করতেও পারে নাই বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।