ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:৩৩ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৬৫ বার
ফেনী: ছোট ফেনী নদীতে দেখা দিয়েছে নদীভাঙন। ফেনী সীমান্তে নোয়াখালীর মুছাপুর স্লুইসগেট (রেগুলেটর) না থাকায় ভাঙনের মাত্রা বাড়ছে।
সোনাগাজীতে বিলীন হচ্ছে উপকূলের বিস্তীর্ণ জনপদ। তীব্র ভাঙনে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ।
বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় এ নদীভাঙন শুরু হয়েছে। প্রতিদিন হারিয়ে যাচ্ছে ভূখণ্ড। ফেনী নদীর তীরজুড়ে ভাঙনের এমন চিত্র প্রতিদিনের। বিলীন হচ্ছে ঘর-বসতি ও ফসলি জমি। ভিটেমাটি হারাচ্ছে তীরবর্তী এলাকার মানুষ।
সোনাগাজীর চর মজলিসপুর এলাকার কাটাখিলা গ্রামের সাইফুল ইসলাম সাবু। তীরপাড়ের বাড়িতে লেগেছে ভাঙন। আসবাবপত্র সরিয়ে নেওয়ায় বিরান পড়ে আছে ঘর-দোর, রয়েছে নদীর বুকে বিলীন হওয়ার অপেক্ষায়।
এমন ভাঙনের শিকার দুই শতাধিক পরিবার। সবার চোখে মুখেই এখন সর্বস্ব হারানোর শঙ্কা। ইতোমধ্যেই বিলীন হয়েছে এলাকার বেশ কয়েকটি সেতু ও রাস্তাঘাট।
গত কয়েক বছর ধরে ধীরে ধীরে ভাঙছে নদী। গত বছর এ অঞ্চলের ১৫টি পরিবারের বাড়িঘর চলে যায় নদীর পেটে। আর গত পাঁচ বছরে অন্তত অর্ধশত পরিবার ভিটেমাটি হারিয়েছে নদীগর্ভে।
গত ২৬ আগস্ট ফেনী সীমান্তে নোয়াখালীর মুছাপুর স্লুইসগেট (রেগুলেটর) ভেঙে পড়ার পরপরই প্রবল স্রোত ও পানির চাপে নদীতীরে বড় বড় ফাটল দেখা দেয়। পানি কমে আসায় এখন মাটি ভেঙে নদীতে তলিয়ে যাচ্ছে। নদীপাড়ের মানুষ রয়েছে আতঙ্কে।
স্থানীয় বাসিন্দা তানজুরুল ইসলাম তুহিন বলেন, নদী ভাঙনের চরম ঝুঁকিতে রয়েছে চর মজলিসপুর ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রতিদিন ভাঙছে নদী। এভাবে চলতে থাকলে অনেক ঘর-বসতি চলে যাবে নদীতে।
শুধু ফেনী নয়, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চর পার্বতীসহ নদী তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকাতেও দেখা দিয়েছে ভাঙন। প্রতিদিন নদীর বুকে চলে যাচ্ছে ঘর-বাড়ি থেকে শুরু করে রাস্তা-ঘাট।
নদী ভাঙন ও মুছাপুর স্লুইসগেট (রেগুলেটর) পুনর্নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী স্বপন কুমার বড়ুয়া বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে পানি উন্নয়ন বোর্ড অবগত। ইতোমধ্যে কয়েকবার সরেজমিন পরিদর্শনও করা হয়েছে। মুছাপুর স্লুইসগেট (রেগুলেটর) পুনর্নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি নির্মাণকাজ শুরু হতে বেশি সময় লাগবে না।
স্থানীয়রা বলছেন, মুছাপুর স্লুইসগেট (রেগুলেটর) পুনর্নির্মাণ হলে নদীভাঙন থেকে অনেকটাই রেহায় পাবেন তারা।
নোয়াখালী ও ফেনীর ১৩০ লাখ হেক্টর জমিতে চাষাবাদের সুবিধার্থে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও নোয়াখালীর সড়ক বিভাগ ও জনপথ ২০১৫ সালের মার্চে ৩০৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকায় মুছাপুর স্লুইসগেট (রেগুলেটর) নির্মাণ করে।