ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১০:৫৩ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ১৩৭ বার
ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি
নওগাঁর ধামইরহাটে পদত্যাগের দাবিতে প্রধান শিক্ষক জিন্নাতুন পারভীনকে (৩৮) বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় স্বামী আশরাফুল হক এগিয়ে এলে তাঁকেও বেঁধে সারাদিন নির্যাতন করা হয়।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার খেলনা ইউনিয়নের রেড়িতলা একাডেমিতে ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
ভুক্তভোগী জিন্নাতুন পারভীন রেড়িতলা একাডেমির প্রধান শিক্ষক ও আশরাফুল হক আড়ানগর ইউনিয়নের পলাশবাড়ী চিমুনিয়া দাখিল মাদরাসার সহকারী (কম্পিউটার) শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। তারা দুজনে স্বামী ও স্ত্রী।
ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক জিন্নাতুন পারভীন বলেন, ‘সকালে বিদ্যালয়ে গেলে সহকারী (কম্পিউটার) শিক্ষক কাওসারের নেতৃত্বে কিছু শিক্ষার্থী এবং অভিভাবরা আমার পদত্যাগের জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। আমি পদত্যাগ করতে না চাওয়ায় একটি কক্ষে দড়ি দিয়ে বেঁধে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমাকে নির্যাতন করা হয়। এ ঘটনায় আমার স্বামী এগিয়ে এলে তাঁকেও আমার সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করা হয়।’
আশরাফুল হক বলেন, ‘সকালে স্ত্রীকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য স্কুলে গেলে তাঁদেরকে ভয় ভীতি দেখিয়ে বেঁধে রেখে অন্ডকোষসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনে তাদের দুজনের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় যখম প্রাপ্ত হয়েছেন। এবং মোটরসাইকেল সহ কিছু টাকাও তারা কেরে নিয়েছেন।’
এই ঘটনায় রেড়িতলা একাডেমির সহকারী (কম্পিউটার) শিক্ষক কাওসারের মোবাইল ফোনের সুইচ বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
ধামইরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাহাউদ্দীন ফারুকী বলেন, খবর পেয়ে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে পুলিশ এবং সেনাবাহিনী টিমসহ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে নিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আসমা খাতুন বলেন, ‘গত এক সপ্তাহ আগে বেড়িতলা একাডেমির প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন করে ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগপত্র দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। গত সোমবার এ বিষয়ে তারা তদন্তও করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘যতটুকু আমি জেনেছি, আজ সকালে প্রধান শিক্ষক স্কুলে গেলে তাকে পদত্যাগের জন্য চাপ প্রয়োগ করা হয় এবং পদত্যাগ করতে না চাওয়াই বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখার বিষয় জানতে পেরে আইনি সহায়তা দিয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে।’