ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৩:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫৫ বার
ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি
নওগাঁর ধামইরহাটে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমা খাতুনের হস্তক্ষেপে আফসানা (১৪) নামের এক শিক্ষার্থীর বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর একটার সময় উপজেলার উমার ইউনিয়নের আট নম্বর ওয়ার্ড অমরপুর হঠাৎপাড়া গ্রামে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আসমা খাতুন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কনে ও পাত্রের প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় বাল্যবিবাহটি বন্ধ করে দেন।
আফসানা উপজেলার উমার ইউনিয়নের আট নম্বর ওয়ার্ড অমরপুর হঠাৎপাড়া গ্রামের আশরাফুল ইসলামের মেয়ে। সে ধামইরহাট সফিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় কনে ও বর দুজনেই পলাতক ছিল।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ‘মৃত গোলজার হোসেনের ছেলে সোহাগ হোসেনের সঙ্গে একই গ্রামের আফসানার সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। এ কারণে কনের পরিবার থেকে পাত্রপক্ষসহ প্রায় ৪০ জন অতিথিদের খাওয়ার প্রস্তুতিও চলছিল।’
কনের নানি পারভীন বলেন, 'সোহাগ রাজমিস্ত্রির কাজ করে। সে বিদেশে কাজ করার জন্য বিয়ে করে বউকে দেশে রেখে ব্রুনাইয়ে যাবে। এ কারণে নাতনির সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম।'
মমতা বলেন, ‘ছেলে বিদেশ যাবে এ কারণে ভেবেছিলাম, আমার মেয়ে যেহেতু নাই সে কারণে ছেলেকে বিয়ে দিয়ে মেয়ে হিসেবে ছেলের বউকে কাছে রাখবো। বাল্যবিবাহের বিষয়টি আমার জানা ছিল না কিন্তু এ বিষয়ে ইউএনও মহোদয় আমার ভুল ভেঙ্গে দিয়েছেন।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আসমা খাতুন বলেন, ‘অমরপুর হঠাৎপাড়া এলাকা থেকে ফোনের মাধ্যমে একটি অভিযোগ পাই, যে আফসানা নামের ১৪ বছরের একটা মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। সেই খবরের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে এসে অভিযোগের সত্যতা পাই এবং অভিভাবকের দায়িত্ব নিয়ে মেয়ের নানী যেহেতু বিয়েটি দিচ্ছিলেন এ কারণে বাল্য বিবাহ আইনে তাকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’