ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪৬ বার
ঢাকা: রাজধানীর মোহাম্মদপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থান এলাকায় দুই পক্ষের মারপিটের ঘটনায় নাসির বিশ্বাস (২২) ও মুন্না (২৩) নামে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। তবে পুলিশ বলছে, দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মোহাম্মদপুর কবরস্থান এক নম্বর গেটের পাশে ঘটনাটি ঘটে।
জানা গেছে, আহতাবস্থায় নাসিরকে স্বজনরা উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত পৌনে ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়। আর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মুন্নার মৃত্যু হয়। পুলিশ বলছে নিহত দুজন একই পক্ষের।
নিহত নাসিরের বন্ধু মো. শাওন আহমেদ বলেন, আমি রায়ের বাজার এলাকায় ফোন ফ্যাক্সের ব্যবসা করি। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে ঢাকা উদ্যানের দিকে যাচ্ছিলাম। এসময় নাসির এসে আমাকে বলে আমাকে মোহাম্মদপুর তিন রাস্তার মোড়ে নামিয়ে দে। মোটরসাইকেল যোগে সাদেক খান কৃষি মার্কেট এলাকায় গেলে মারামারির ঘটনা দেখতে পাই। সেখান থেকে এক যুবক দৌড়ে এসে নাসিরের পিঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেন। তখন নাসির মোটরসাইকেল থেকে নেমে কবরস্থানের দিকে দৌড় দেন। কিছু যুবক তার পিছু নিয়ে কবরস্থানের এক নম্বর গেটের পাশে নাসিরকে কুপিয়ে আহত করে চলে যান।
শাওন আরও বলেন, আগে থেকেই কৃষি মার্কেট এলাকায় মারামারি চলছিল। তবে নাসিরকে কেন মারল সে বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।
নিহত নাসিরের বড় ভাই ইসলাম বিশ্বাস জানান, তাদের বাড়ি মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার পশ্চিম বালিগ্রামে। বর্তমানে নাসির হাজারীবাগ রায়ের বাজার বাড়ৈইখালী ১২ নম্বর রোডে থাকতেন। তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। তিন বোন ও পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে নাসির ছিল চতুর্থ। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে নাসির বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে যাওয়ার উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন। পরে লোক মারফত জানতে তিনি (ইসলাম বিশ্বাস) পারেন, কে বা কারা নাসিরকে কুপিয়েছেন।
মোহাম্মদপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখার হাসান জানান, দুই পক্ষের মারপিটের ঘটনায় নাসির ও মুন্না নামে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে একজনের ঢামেক হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে আর একজনের মৃত্যু হয়েছে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে। তবে নিহত দুই যুবক একই পক্ষের জানা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগের কোনো বিরোধের জের ধরে শুক্রবার দুজনকে একসঙ্গে অপর পক্ষের লোকজন দেখতে পেয়ে তাদের কুপিয়ে হত্যা করেছে। এছাড়া নিহত মুন্নার নামে ছয়-সাতটি মামলার খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে বিস্তারিত ঘটনা জানার জন্য পুলিশ কাজ করছে।