ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১১:০৫ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫৫ বার
খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সাম্প্রতিক ঘটনার কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্বাভাবিক ও শান্ত হয়ে এসেছে। সর্বত্র স্বাভাবিকতা ফিরে আসতে শুরু করেছে।
তবে পার্বত্য দুই জেলায় সহিংস ঘটনার প্রতিবাদে আহুত ৭২ ঘণ্টার সড়ক অবরোধের আজ শেষ দিন চলছে। গত দুদিনের মতোই দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ সব সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। অবরোধকে কেন্দ্র করে এখনো জেলার কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সাম্প্রতিক ঘটনার জেরে জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে যাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা। ক্লাস কার্যক্রম চলছে না।
অবরোধের কারণে সাজেকে আটকে পড়া পর্যটকদের এখনো ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। সেখানে এক হাজারের বেশি পর্যটক আটকে আছেন। নিরাপত্তাজনিত কারণে তাদের গাড়ি ছাড়ছে না বলে জানান বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরিন আক্তার।
অপরদিকে মো. মামুন নামে যে যুবককে হত্যার ঘটনায় এত ঘটনা সংগঠিত হয়েছে, সেই হত্যার ঘটনায় খাগড়াছড়ি সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, হত্যার শিকার মামুনের স্ত্রী মুক্তা আক্তার বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জন পাহাড়ি বাঙালিকে আসামি করা হয়েছে। এজাহার নামীয় তিন আসামির মধ্যে দুজন আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
উল্লেখ্য, গত ১৮ আগস্ট ভোরে জেলা সদরের শালবন এলাকার বাসিন্দা মামুনের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ এনে পিটিয়ে আহত করার পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার জের ধরে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সহিংসতায় চারজন নিহত ও বহু লোক আহত হন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা থেকে বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র-জনতার সমাবেশ থেকে এ অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছিল। আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ অবরোধ কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানায়।