ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

রাজনৈতিক দলকে ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১০:২৯ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫৩ বার


রাজনৈতিক দলকে ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব

আগের যে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইব্যুনাল আছে সেটার থেকে অবশ্যই অনেকগুণ নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য বিচার হবে।
সবার কাছে পরামর্শ চেয়ে ড. আসিফ নজরুল বলেন, আমরা কোনো অন্যায় করব না। সারাক্ষণ আপনাদের ওয়াচডগে (পর্যবেক্ষণ) থাকব।  

আদিলুর রহমান খান বলেন, বিচারটা এমন একটা বিষয়, একদিকে প্রসিকিউশন থাকে, অন্যদিকে ডিফেন্স থাকে। সামগ্রিকভাবে বিচারটা কেমন হচ্ছে দেশের মানুষও এটা দেখে।

তিনি বলেন, আমরা এটা নিশ্চিত করতে চাচ্ছি পারপ্রিটেটার্সরা যেভাবে বিচার করেছে তার বাইরে সত্যিকারার্থে যেভাবে বিচার হওয়া উচিত সেভাবেই বিচার করা। ভিকটিম ফ্যামিলিগুলোও সেটা চায়। সবার একটাই কথা ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা। সেই লক্ষ্য নিয়েই আজকে আমরা একত্রিত হয়েছি।

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সংশোধনীর যে প্রস্তাবগুলো আনা হয়েছে, আসামিদের স্বার্থ ও অধিকার সুরক্ষার বিষয়টি খসড়ায় যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রসিকিউশন (রাষ্ট্রপক্ষ) আন্তর্জাতিক আইনজীবী আনতে চাইলে আনতে পারবেন, সেই বিধানও থাকা দরকার।

ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, সবার মতামতের ভিত্তিতে এ আইন এমনভাবে সংশোধন করা হোক, যার মাধ্যমে ভুক্তভোগী এবং আসামি—দুই পক্ষই যাতে মনে করে ন্যায়বিচার হয়েছে।

ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেন, ট্রাইব্যুনাল নিয়ে এর আগে যত সমালোচনা হয়েছে, সবাই মনে করেছে একাত্তরের গণহত্যার বিচার হওয়া উচিত। এখন যেভাবে সবাই মনে করছে যে এ আন্দোলনে যারা বিভিন্ন ঘটনার শিকার হয়েছেন, তাদের বিচার পাওয়া উচিত।

তিনি বলেন, এখন আমরা যে সেন্টিমেন্ট দেখছি, ভুক্তভোগীদের বিচার পেতে হবে। আমাদের একটু অন্যভাবে বিষয়টা ভাবতে হবে। যারা অভিযুক্ত হবে তারাও যাতে ন্যায়বিচার পায়। উন্মুক্ত বিচারের যে ব্যবস্থা রাখার  প্রস্তাবনা রাখা হয়েছে, সেটাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। বিচারে স্বচ্ছতা আনতে অন্তত একজন আন্তর্জাতিক বিচারপতি রাখার পক্ষেও মত দেন তিনি।

রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ সংক্রান্ত প্রস্তাবিত ধারার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা যদি সর্বশেষ আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করার চেষ্টা করি তাহলে কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ হয়েছে কবে তা আমাদের খুঁজে দেখতে হবে। আমার ধারণা খুঁজে পাওয়া যাবে না। নুরেমবার্গে সর্বশেষ হয়েছে। ২০২৪ এসে নিশ্চয়ই নুরেমবার্গ প্রয়োগ করতে যাবে না। কারণ তা এখন গণ্যহীন হয়ে গেছে। এখানে শুধু কয়েকজন তৃপ্তি পাবে যারা অন্য রাজনীতি করে।

জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, প্রাথমিকভাবে তথ্য-প্রমাণের যে বিষয় বলা হয়েছে, সেখানে একটি পার্টিকুলার জিনিস মিসিং। আইনে ডিজিটাল এভিডেন্স গ্রহণ করার কথা বলা হচ্ছে। তবে এটা গ্রহণের পদ্ধতি কি হবে সেটা স্পষ্ট করা নেই।

তিনি বলেন, ডিস ইনফরমেশন আর মিস ইনফরমেশনে ভর্তি। ফেইক ভিডিও ছবি নানাভাবে ইন্টেনশনালি ছড়াচ্ছে, আবার কেউ মোটিভেটেড হয়েও ছড়াচ্ছে। ফলে এ ডিজিটাল তথ্য-উপাত্ত গ্রহণের পদ্ধতি যেন একটি বিশ্বাসযোগ্য জায়গায় থাকে, সেটা আইনে স্পষ্ট করাটা খুবই জরুরি।

রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, ধারা ২০ এ রাজনৈতিক দল বা সংগঠনকে নিষিদ্ধের কথা বলা হয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এ নিষিদ্ধ কি শুধু দেশের অভ্যন্তরীণ অ্যাক্টিভিটিসকে নিষিদ্ধ করবেন, নাকি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও নিষিদ্ধ করা হবে। কারণ হচ্ছে, সারা পৃথিবীতেই রাজনৈতিক দলগুলোর কমিটি রয়েছে। দেশে নিষিদ্ধ হলে দেশের বাইরে কার্যক্রম চালছে, সে ক্ষেত্রে নিষিদ্ধের এলাকা কোনটা হবে, এটা ঠিক করা হবে কীভাবে?

অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে রাজনৈতিক সংগঠন নিয়ে। এখানে সবার স্ট্রং ওপেনিয়ন আছে। আমরা বলছি, অভিযুক্ত দল বা সংগঠন কিছুই করতে পারবে না। আবার পরে বলছি, যদি সে দেখাতে পারে সে কিছু ভালো কাজ করেছে, তাহলে তার শাস্তি কমাতে পারে।

তিনি বলেন, আমার মনে হয়, এ ব্যান্ডটা যদি আমরা ওভারল করি, তাহলে একটি রাজনৈতিক দলকে তার রিপেন্টেন্সের সুযোগ আমরা দিচ্ছি না, সেলফ কারেকশনের সুযোগ আমরা দিচ্ছি না। আমার একটি অল্টারনেটিভ প্রস্তাব হচ্ছে আমরা তাদের নিবন্ধন বাতিল করতে পারি। সে ক্ষেত্রে নিবন্ধন আইন সংশোধন করতে হবে।


   আরও সংবাদ