ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১ অক্টোবর, ২০২৪ ১৬:৫০ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪১ বার
ঢাকা: আশুলিয়ায় গুজব ছড়িয়ে সহিংসতা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, গতকাল আশুলিয়ায় একটি গুজবের ভিত্তিতে ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল।
গুজব ছড়ানো হয়েছিল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী একজনকে রেপ করেছে এবং দুজনকে খুন করে মরদেহ ফেলে রেখেছে। এভাবে কারখানাগুলো থেকে শ্রমিকদের নামিয়ে আনা হয়েছিল।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের শ্রম উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আশুলিয়ায় গার্মেন্টস কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে কাজ করে যাচ্ছিল। কিন্তু প্রথম থেকেই দেখে আসছি সুনির্দিষ্ট কিছু মানুষ উসকানি দিয়ে আসছে। গতকালও যে ঘটনা ঘটেছে, সেটার মূল ঘটনা সবার জানা দরকার। একজন শ্রমিক সেখানে নিহত হয়েছেন, আমরা দুঃখিত। আমাদের তরফ থেকে এরই মধ্যে ১৩ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া যারা আহত হয়েছেন তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
শ্রম উপদেষ্টা বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ি ভাঙচুরসহ তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে শ্রমিকরা। তখনও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অত্যন্ত ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। কিন্তু শ্রমিকদের মধ্য থেকে অনুপ্রবেশকারী গুলি ছুড়েছিল প্রথম। সেখান থেকে গোলাগুলির সূত্রপাত হয়। দুঃখজনকভাবে সেখানে আমাদের একজন শ্রমিক নিহত হন। আরও সাতজন আহত হয়েছেন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীরও ১৩ সদস্য আহত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা এ পরিস্থিতি কখনো চাই না, শ্রমিক ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে মুখোমুখি দাঁড় করাতে চাই না। আশুলিয়ায় এতদিন ধরে আন্দোলন চলছে, সেখানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা রেখে এসেছে। মালিকদের সঙ্গে কথা বলে কীভাবে বেতন আদায় করা যায়, তারা সেই চেষ্টা করছে। সেনাবাহিনীও একই কাজ করেছে। ২৪ সেপ্টেম্বর শ্রমিক-মালিকের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, যদি শ্রমিকদের বেতন না দেওয়া হয়, আমরা মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো। এ বিষয়ে আজ আলোচনা হয়েছে। যেসব কোম্পানির মালিক দীর্ঘদিন ধরে বেতন দিচ্ছেন না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আশুলিয়ার সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে শ্রম উপদেষ্টা বলেন, দু-তিনটি কারখানায় বেতন না হওয়ার কারণে আজ শ্রমিকরা বাইপাইলে সড়ক অবরোধ করেছেন। আমরা কারখানার মালিকদের খুঁজছি, কিন্তু তারা পলাতক আছেন। ব্যাংকেও তারা প্রচুর ঋণগ্রস্ত। দ্রুতই আইনের আওতায় আনা হবে।
সেই আগের মতোই গুলি করে মানুষ হত্যার মতো ঘটনা ঘটছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গুলিটা এসেছিল শ্রমিকদের ভেতরে অনুপ্রবেশ করা কারও পক্ষ থেকে। এরই মধ্যে তাদের শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।