ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২ অক্টোবর, ২০২৪ ১০:১০ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪৭ বার
নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাতে চট্টগ্রামের খুলশি থেকে র্যাব-৭ এর একটি দল তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
এক ক্ষুদে বার্তায় এই তথ্য জানিয়েছে র্যাব সদরদপ্তর।
র্যাব সদর দপ্তর জানায়, নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীকে চট্টগ্রামের খুলশী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। সেই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারের সময় একরামুল হক চৌধুরীর কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ দেশি ও বিদেশি মুদ্রা জব্দ করা হয়েছে। তাঁর কাছ জব্দকৃত ব্যক্তিগত মালামালগুলো হলো: ১০ লাখ টাকা, ১৬ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার, ২ হাজার ১২৪ সিংগাপুরি ডলার, ৪টি এটিএম কার্ড, একটি এনআইডি কার্ড, মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স, সংসদ ভবন আইডি কার্ড, মানিব্যাগ এবং একটি স্বণের্র সদৃশ চেইন।
একরামুল করিম চৌধুরী নোয়াখালী-৪ আসন থেকে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত হন। তিনি টানা চার মেয়াদে আসনটি থেকে নির্বাচিত হন। এর আগে একরাম চৌধুরী ২০০১ সালে নোয়াখালী-৫ আসন থেকে স্বতন্ত্র নির্বাচন করেন। আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। স্বতন্ত্র নির্বাচনের কারণে দল থেকে বহিষ্কার হন। ২০০৩ সালে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ করা হয় একরামকে। ২০০৪ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হন একরামুল চৌধুরী। ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসন থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে এমপি হন তিনি। এরপর জেলার রাজনীতিতে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করেন।
২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে একরামুল করিম চৌধুরী আবারও সাধারণ সম্পাদক হন। এ এইচ এম খায়রুল আনাম চৌধুরী সভাপতি হলেও তাঁকে কোণঠাসা করে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পরিবারের সদস্যদের নাম প্রস্তাব করেন। সে সময়ে রাজনীতি না করা ছেলে আতাহার ইশরাক ওরফে শাবাব চৌধুরীকে যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে প্রস্তাব করেন। বিতর্ক ওঠার পরে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ভাঙে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি থেকে বাদ পড়েন একরাম। তবে এমপি থাকায় জেলার রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করেন তিনি। আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ছেলে শাবাব চৌধুরীকে সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।