ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

হাসিনাকে গ্রেপ্তারে রেড নোটিশ জারির জন্য ইন্টারপোলকে চিঠি

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ১২ নভেম্বর, ২০২৪ ১৫:৫৫ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ২১ বার


হাসিনাকে গ্রেপ্তারে রেড নোটিশ জারির জন্য ইন্টারপোলকে চিঠি

ঢাকা: গণঅভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে পালানো সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারে রেড নোটিশ জারির জন্য পুলিশের মহাপরিদর্শকের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পুলিশিং সংস্থা ইন্টারপোলের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন অফিস।

মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

 

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা গত পরশুদিন ইন্টারপোলের কাছে রেড নোটিশ পাঠানোর জন্য বা রেড এলার্ট জারি করার জন্য ইন্টারপোলকে রিকোয়েস্ট করেছি। এক সময়কার প্রধানমন্ত্রী, মামলার আসামি পলাতক আছেন, দেশের বাইরে আছেন, শেখ হাসিনা, তাকে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ইন্টারপোলের যে ব্যবস্থা আছে, সিস্টেম আছে, সে সিস্টেমের কাছে আমরা চিফ প্রসিকিউটরের অফিস থেকে রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছি। তিনি (শেখ হাসিনা) যেহেতু মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত, তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পেরায়ানা পেন্ডিং আছে। বাংলাদেশের জুরিকডিকশনের বাইরে তিনি চলে গেছেন, সে কারণে আন্তর্জাতিক পুলিশিং সংস্থা হিসেবে ইন্টারপোল যাতে তাকে গ্রেপ্তার করার ব্যবস্থা করে, অন্তত তার ব্যাপারে রেড এলার্ট জারি করে, সে ব্যাপারে রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছি।

কীভাবে পাঠিয়েছেন এমন প্রশ্নে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, এটা কমিউনিকেট করার দায়িত্ব পুলিশের আইজিপির। আমরা সরাসরি লিখেছি ইন্টারপোলের কাছে। এটাই যাবে।

এর আগে গত রোববার পলাতকদের ধরতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে ‘রেড নোটিশ’ জারি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।

ওইদিন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সংস্কারকাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন আসিফ নজরুল।

গত ১৪ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান হাইকোর্টের বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদার। আর সদস্য হিসেবে নিয়োগ পান হাইকোর্টের বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মহিতুল হক এনাম চৌধুরী। এর আগে চিফ প্রসিকিউটরসহ প্রসিকিউশন ও তদন্ত সংস্থা নিয়োগ দেওয়া হয়।

এরপর  মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনা, তার মন্ত্রীসভার সদস্য, পুলিশ সদস্যসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।


   আরও সংবাদ