স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩:১১ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ১১ বার
লিওনেল মেসির জাদুকরী পারফরম্যান্স এবং জোড়া অ্যাসিস্টে ভর করে ইতিহাস সৃষ্টি করল ইন্টার মায়ামি। ফাইনালে ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপসকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো এমএলএস কাপ জয় করল তারা। এই জয়ে গোলাপি জার্সির সমর্থকদের আনন্দ উল্লাসে চেজ স্টেডিয়ামে এক উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
ম্যাচের শুরুটা মায়ামির জন্য ছিল স্বপ্নের মতো। খেলা শুরুর মাত্র ৮ মিনিটের মাথায় তাদেও আলেন্দের আক্রমণ ঠেকাতে গিয়ে ভ্যাঙ্কুভারের এডিয়ার ওকাম্পো নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে দেন (আত্মঘাতী গোল)। ফলে শুরুতেই ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
প্রথমার্ধের শেষদিকে খেলায় ফেরার জোর চেষ্টা চালায় ভ্যাঙ্কুভার। ৩৮ মিনিটে ইমানুয়েল সাব্বির একদম কাছ থেকে নেওয়া নিশ্চিত গোল ঠেকিয়ে দেন মায়ামির গোলরক্ষক রোকো রিওস। এরপর টমাস মুলারের হেড জালের ওপর দিয়ে চলে গেলে সমতায় ফেরার দারুণ সুযোগ হারায় সফরকারীরা।
বিরতির পর আক্রমণাত্মক মেজাজে ফিরে ভ্যাঙ্কুভার এবং ৬০ মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়। আলী আহমেদের শট গোলরক্ষক রিওসের হাতের নিচ দিয়ে জালে জড়ালে ১-১ সমতায় ফেরে তারা। এর কিছুক্ষণ পরেই সাব্বির শট দুই পোস্টে লেগে ফিরে আসে এবং ফিরতি শটও বারে লেগে প্রতিহত হয়, যা ছিল ভ্যাঙ্কুভারের জন্য চরম দুর্ভাগ্যজনক।
তবে সমতা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ম্যাচের ৭১ মিনিটে জাদুর স্পর্শ দেখান মেসি। তার নিখুঁতভাবে বাড়ানো পাসে বল পেয়ে ঠান্ডা মাথায় গোল করে মায়ামিকে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন রদ্রিগো দি পল।
ম্যাচের শেষ মুহূর্তে সমতা ফেরাতে মরিয়া হয়ে ওঠে ভ্যাঙ্কুভার। কিন্তু উল্টো পাল্টা আক্রমণে (কাউন্টার অ্যাটাক) গোল হজম করে বসে তারা। আবারও ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন মেসি। বুক দিয়ে বল নামিয়ে তিনি ফ্লিক করে পাস দেন আলেন্দেকে, যিনি গোলরক্ষক ইয়োহেই তাকাওকার পায়ের ফাঁক দিয়ে বল জালে পাঠান।
এই জয়ের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ফুটবল লিগ 'মেজর লিগ সকার' বা এমএলএস-এর চ্যাম্পিয়ন হিসেবে নিজেদের নাম খোদাই করল ইন্টার মায়ামি।