ঢাকা, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

বুসকেতস-আলবাকে হাসিমুখে বিদায়

স্পোর্টস ডেস্ক


প্রকাশ: ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩:১১ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ১১ বার


বুসকেতস-আলবাকে হাসিমুখে বিদায়

যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর পর যেসব স্বপ্ন এঁকেছিলেন লিওনেল মেসি, তার পূর্ণতা অবশেষে মিলল। শনিবার ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপসকে হারিয়ে ইতিহাসের প্রথম ‘এমএলএস কাপ’ জিতেছে ইন্টার মায়ামি। ফাইনালে গোল না পেলেও দুটি নিখুঁত অ্যাসিস্টে দলের জয়ের ভিত্তি গড়ে দেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা।

ম্যাচ শেষে অফিশিয়াল ব্রডকাস্টার ও টিওয়াইসি স্পোর্টসকে মেসি বলেন, ‘এটা পুরো দলের অসামান্য ত্যাগের ফসল। এখানে আসার সময় আমাদের অন্যতম লক্ষ্য ছিল এই শিরোপা জয়। আসার পরপরই লিগস কাপ জিতেছিলাম। বছরটা দারুণ কেটেছে; প্রতিটি প্রতিযোগিতাতেই আমরা সমানে লড়াই করেছি।’

এ ম্যাচ দিয়েই বিদায় নিলেন মেসির দীর্ঘদিনের দুই সঙ্গী সের্হিও বুসকেতস ও জর্দি আলবা। তাদের বিদায় নিয়ে মেসির কণ্ঠে ছিল আবেগ, ‘ওদের অর্জনে আমি সত্যিই খুশি। ইতিহাসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হিসেবে এমএলএস কাপ জিতে ক্যারিয়ার শেষ করা বিশেষ কিছু। ওরা আমার খুব কাছের বন্ধু। ওদের হাসিমুখে বিদায় নিতে দেখে আনন্দ লাগছে। নতুন জীবনের জন্য শুভকামনা।’

ফাইনাল বিশ্লেষণে মেসি বললেন, ‘ভ্যাঙ্কুভার খুবই শক্তিশালী দল, আর টমাস মুলার যোগ দেওয়ায় তাদের মান আরও বেড়েছে। তারা আমাদের চাপে রেখেছিল। তবে প্রতি-আক্রমণ থেকে সঠিক সময়ে ২-১ লিড নেওয়া আমাদের জন্য নির্ণায়ক ছিল।’

২০২৫ সালের সার্বিক পারফরম্যান্স প্রসঙ্গে মেসি বলেন, ‘এত কম সময়ে ক্লাবকে শীর্ষ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সহজ ছিল না। ক্লাব বিশ্বকাপে আমরা সম্মানজনক পারফর্ম করেছি; যদিও তখন অন্য দলগুলো বিশ্রামে ছিল, আর আমরা ধারাবাহিকভাবে খেলছিলাম।’

মেসি যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘ ও ক্লান্তিকর ভ্রমণের প্রসঙ্গও টানেন: ‘এখানে ভ্রমণগুলো সত্যিই কঠিন। ভ্যাঙ্কুভার বা লস অ্যাঞ্জেলেসে যেতে ৬-৭ ঘণ্টা লাগে।’

আগামী পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন লক্ষ্য একটি ভালো প্রাক-মৌসুম কাটানো এবং নতুন করে সবকিছু শুরু করা।’ এরই মধ্যে আর কয়েক মাস পর শুরু হবে তার বিশ্বকাপ শিরোপা ধরে রাখার মিশন।


   আরও সংবাদ