স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৪:২১ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪৩ বার
বিসিবি একাডেমির পরিবেশ গতকাল শনিবার ছিল কিছুটা ভিন্ন। হেড কোচ ফিল সিমন্সের অধীনে শুরু হয়েছে টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের সপ্তাহব্যাপী বিশেষ ক্যাম্প, যেখানে দেখা গেল নতুন সব পদ্ধতির অনুশীলন। সিমন্সের সঙ্গে ছিলেন সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ও ব্যাটিং কোচ মোহাম্মদ আশরাফুল।
এদিন কোচদের কেন্দ্রীয় দৃষ্টি ছিল দুই বাঁহাতি ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদ হাসান তামিমের ওপর। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশি ব্যাটারদের লেগ সাইড নির্ভরতার সমালোচনা বাড়ায় অফ সাইডে গ্যাপ বের করে খেলার ওপর বিশেষ অনুশীলন করানো হয়। বোলিং মেশিনের সামনে কাল্পনিক ফিল্ড সেট করে ‘গ্যাপ শট’ খেলার পুনরাবৃত্তি চলে।
অনুশীলন শেষে মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ক্রিকবাজকে বলেন, ‘মূলত ইমন আর তামিমকে মাথায় রেখেই সেশনটা সাজানো হয়েছে। আমরা সাধারণত প্রথম ছয় ওভারে খুব জোরে মারতে চাই। কিন্তু সবসময় বড় শট খেললে লম্বা ইনিংস সম্ভব নয়। বোলার যখন ১৪০ গতিতে দেয়, তখন গায়ের জোরের চেয়ে পেস ব্যবহার করা ও গ্যাপ খোঁজা বেশি জরুরি। কম ঝুঁকিতে বাউন্ডারি আনা যায়।’
এক পর্যায়ে দেখা যায়, ইমনের ব্যাটিং স্টান্স নিয়ে সিমন্স ও সালাউদ্দিন সরাসরি কাজ করছেন। ইমনের শরীর নড়াচড়ায় বেশি অস্থির মনে হওয়ায় তা নিয়ে উদ্বেগ ছিল কোচদের।
এ প্রসঙ্গে সালাউদ্দিন বলেন, ‘ইমন ব্যাট করার সময় খুব বেশি নড়ছিল। এতে মাথা স্থির থাকে না, বলও পরিষ্কার দেখা যায় না। বল যত ভালো দেখা যাবে, সিদ্ধান্ত তত সঠিক হবে। তাকে স্থির থেকে বলের মেধা অনুযায়ী খেলতে বলা হয়েছে।’
আন্তর্জাতিক ব্যস্ত সূচির কারণে স্কিল নিয়ে আলাদা কাজ করার সুযোগ খুব কম। তাই বিপিএলের আগে পাওয়া এই ছোট বিরতিকে সর্বোচ্চ ব্যবহারের চেষ্টা চলছে। সালাউদ্দিন জানান, বিপিএল চলাকালেও ক্রিকেটারদের টেকনিক, মানসিকতা ও ফিটনেস নিয়ে পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রাখবেন কোচরা, যা ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ প্রস্তুতির একটি অংশ।