ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১০:৩৩ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩৫ বার
বরিশাল: নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, সব নদীতে ক্যাপিটাল ড্রেজিং করা যায় না, বাংলাদেশের বাজেট এখন যা আছে তার তিনগুণ লাগবে ক্যাপিটাল ড্রেজিং করতে। পলিটিক্যাল লোকজনসহ বিভিন্ন ধরনের লোক নদীগুলোকে দখল করছে, প্রথমে এগুলোকে দখলমুক্ত করতে হবে। আর দখলমুক্ত করতে গেলে সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, নদী দখলমুক্ত না করে ড্রেজিং করলে কোনো কাজ হবে না। আর এখন আমরা (বিআইডব্লিউটিএ) ড্রেজিং করি যেটুকু নৌপথের জন্য প্রয়োজন সেটুকু। বিআইডব্লিউটিএ ছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসনও করে। তবে এগুলো সমন্বিতভাবে করা হয় না, আর এটি সমন্বিত হলে ড্রেজিং অর্থবহ হবে।
রোববার (০৭ ডিসেম্বর) দুপুরে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের ওপর মীরগঞ্জ সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, আমরা হিমালয়ের নিচে, তাই পলিগুলো দীর্ঘপথ হয়ে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। কাজেই প্রতিবছর বর্ষার সময় যে পলিগুলো আসে তা উপকূলীয় অঞ্চলে আটকে থাকে। কিন্তু সমগ্র উপকূলীয় অঞ্চল ড্রেজিং করা সম্ভব নয়। পলি পড়তে পড়তে সমুদ্রের পানিও উপরের দিকে চলে আসছে, আবার স্যাটেলাইট এটা বলছে যে আরেকটা বাংলাদেশ জেগে উঠছে। এর সবকিছুই পলির জন্য হচ্ছে। আর আমরা যে জায়গাতে নাব্যতা রাখা প্রয়োজন বলে মনে করি, সেই জায়গাতেই ড্রেজিং হয়। না হলে লঞ্চ, স্টিমার চলাচল করতে পারতো না। সমগ্র উপকূল ড্রেজিং করা যাবে না এটা বলছি না, বলছি করাটা খুবই কঠিন। তবে মৎস্য সম্পদ রক্ষায় যে সব জায়গাতে ড্রেজিং করতে হবে তাও করে দেওয়া হবে।
মীরগঞ্জ সেতুর বিষয়ে তিনি বলেন, এই ব্রিজটা আপনাদের, যারা এখানে কাজ করবে তাদের সহযোগিতা করবেন। এখানে যেন বড়ো ধরনের কোনো চুরি চামারি না হয়। পুকুর চুরি, নদী চুরি যেন না হয়। আর রাজনৈতিক নেতারাও এলাকাবাসীর পক্ষ হয়ে কাজ করবেন। আমরা থাকবো না, নতুন সরকার আসবে, সেখানে যারা আসবেন তারা জনগণের আমানত মনে করে কাজটা করবেন। আমার আর তোমার লোক নয়, জনগণ যেভাবে চাইবে সেভাবে কাজ করতে হবে। এই ব্রিজের উদ্বোধন আমরা বেঁচে থাকতে দেখে যেতে পারবো কিনা সেটা বলতে পারছি না, তবে না দেখলেও ব্রিজ এবং রাস্তা যেন একটা উদাহরণ হয়ে থাকে।