ধর্ম সংবাদ
পরস্পর বিচ্ছিন্ন হওয়ার বিপদ
অপরাধ ডেস্ক: আল্লাহ তাআলা আমাদের সৃষ্টি করেছেন তাঁর দাসত্ব করার জন্য। তাঁর হুকুম বাস্তবায়ন ও প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যেই আমাদের জন্য তিনি আসমান, জমিন তথা সব কিছু সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, আমরা তাঁর হুকুম উপেক্ষা করে চলেছি—ব্যক্তিজীবন থেকে রাষ্ট্রীয় জীবন পর্যন্ত। এর ফল কী হচ্ছে? এর ফলে আমাদের জনজীবন বিষণ্ন হয়ে যাচ্ছে। বিষাদে ছেয়ে
রমজানে মুমিনের প্রতিদিনের আমল
অপরাধ ডেস্ক: করমজান মুমিনের জন্য প্রশিক্ষণকাল। এই মাসে মুমিন সুনিয়ন্ত্রিত পুণ্যময় জীবনে অভ্যস্ত হয় এবং বছরের অন্য মাসগুলো সে অনুযায়ী জীবন যাপন করে। সুতরাং রমজানে মুমিন আল্লাহর আনুগত্য, পুণ্যের কাজ, ইবাদত, প্রবৃত্তিপূজা ও আল্লাহর অবাধ্যতা পরিহারের অনুশীলন করে। সেই অনুশীলন হতে পারে নিচের সময়সূচি অনুযায়ী, কোরআন, হাদিস ও রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর দৈনন্দিন
রোজা রেখে চোখে ড্রপ বা ওষুধ দেওয়া যাবে?
অপরাধ ডেস্ক: প্রশ্ন: রোজা রেখে চোখে ড্রপ বা ওষুধ দেওয়া যাবে? উত্তর: রোজা রেখে চোখে ড্রপ বা ওষুধ দেওয়া যাবে। এতে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। রোজা ভঙ্গের কারণ হচ্ছে, স্বাভাবিক প্রবেশ পথ দিয়ে পেটে বা মস্তিষ্কে কোন কিছু প্রবেশ করা। চোখ স্বাভাবিক প্রবেশপথ নয়। তথ্যসূত্র: বায়হাকি শরিফ, হাদিস নং-৮৫১২, ফাতহুল বারি, খণ্ড-৪, পৃষ্ঠা-২০৭, ফতোয়ায়ে আলমগিরি,
রোজা কবুল হওয়ার জন্য ৬ করণীয়
অপরাধ ডেস্ক: সাধারণত পানাহার ও কিছু জৈবিক চাহিদা পূরণ থেকে বিরত থাকাকে রোজা মনে করা হয়। কিন্তু এটাই রোজার শেষ কথা নয়, বরং রোজার কয়েকটি স্তর রয়েছে। প্রতিটি স্তরের মর্যাদায় রয়েছে তারতম্য। ইমাম গাজালি (রহ.) ‘ইহয়াউ উলুমিদ্দিন’ গ্রন্থে রোজার তিনটি স্তর বর্ণনা করেছেন। ক. সাধারণের রোজা, খ. বিশেষ শ্রেণির রোজা, গ. অতি বিশেষ শ্রেণির রোজা। ক. সাধারণের
রোজার প্রাণশক্তি ও আধ্যাত্মিক শিক্ষা
অপরাধ ডেস্ক: রাসুলুল্লাহ (সা.) সেসব মানুষের প্রতি আল্লাহর অভিশাপের কথা জানিয়েছেন, যারা রমজান মাসে তার গুনাহ ক্ষমা করাতে পারেনি। তাই মুমিনের উচিত রমজানে জীবনের পাপ-পঙ্কিলতা মার্জনার চেষ্টা করা। রাসুলুল্লাহ (সা.) পাপমুক্ত হওয়ার পথও বর্ণনা করেছেন। তা হলো, যে ব্যক্তি রোজা রাখবে এই বিশ্বাসের সঙ্গে যে আল্লাহর সব অঙ্গীকার সত্য এবং তিনি সব ভালো কাজের
ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা ভাঙা পাপ
অপরাধ ডেস্ক: রমজান মাসের রোজা রাখা মুসলমানদের অবশ্যপালনীয় বিধান। ইসলাম অনুমোদিত অপারগতা ছাড়া প্রাপ্তবয়স্ক কোনো মুসলমানের এই বিধান পরিত্যাগ করার অনুমতি নেই। ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ রোজা ভঙ্গ করলে ইসলামের দৃষ্টিতে সে বড় পাপী এবং পরকালে তার জন্য আছে ভয়াবহ শাস্তি। নবীজির প্রিয় সাহাবি আবু উমামা (রা.) বলেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন,
পারিবারিক জীবনে রোজা ও রমজান
অপরাধ ডেস্ক: রমজান মাস মুমিনের জন্য আল্লাহর অনুগ্রহ। এই মাসে আল্লাহ ভালো কাজের প্রতিদান বাড়িয়ে দেন, মুমিনের মর্যাদা বৃদ্ধি করেন, পাপীদের জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন এবং মুমিনের দোয়া কবুল করেন। ফলে মুমিন রমজান মাস লাভের জন্য প্রার্থনা করে এবং তা লাভ করলে খুশি হয়। রাসুল (সা.) রজব মাস শুরু হলে দোয়া করতেন, ‘হে আল্লাহ, আমাদের রজব ও শাবান মাসে বরকত দিন
রোজা রাখার ১০ পুরস্কার
অপরাধ ডেস্ক: রোজা ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের অন্যতম। রোজা ছাড়া কোনো ব্যক্তির ইসলাম পূর্ণ হয় না। রোজা রাখার মাধ্যমে ব্যক্তি আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর বিশেষ নৈকট্য লাভ করে। ইসলামপূর্ব শরিয়তগুলোতেও রোজা ছিল। মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনরা! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর, যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।’(সুরা
রমজানে আল্লাহভীতি অর্জনের উপায়
রমজান মাসের রোজা পালন করা তাকওয়া বা আল্লাহভীতি অর্জনের অন্যতম মাধ্যম। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর, যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।’(সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৮৩) উল্লিখিত আয়াত থেকে প্রমাণিত হয়, ‘আল্লাহভীতি অর্জন’ রমজান মাসে রোজা রাখার অন্যতম প্রধান
রমজানের গুরুত্বপূর্ণ ১০ আমল
আল্লাহর ক্ষমার মুহূর্তগুলো আমাদের জীবনে বারবার ঘুরেফিরে আসে। রমজানের প্রতিটি মুহূর্ত অনেক মূল্যবান। মুমিনের জন্য এটি কল্যাণ ও বরকতের বসন্তকাল। তাই একজন মুমিন রমজানের পুরো সময় কাজে লাগাতে পারে। রমজান মাসের গুরুত্বপূর্ণ ১০টি আমল নিন্মে উল্লেখ করা হলো - এক. তাহাজ্জুদ ও দোয়া : সাহরির আগে যথেষ্ট সময় নিয়ে ঘুম থেকে জাগ্রত হলে বিভিন্ন ইবাদত করা
রোজাদারকে ইফতার করালে যে সওয়াব
অপরাধ ডেস্ক: দীর্ঘ ১১ মাস পর আমাদের মাঝে আবার হাজির হয়েছে ইবাদতের বসন্ত রমজানুল মোবারক। এটি প্রতিটি মুমিনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাস। সিয়াম সাধনার মাধ্যমে মহান আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের মাস। জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভের মাস। যারা এই মাসেও তার গুনাহ মাফ করাতে সক্ষম হয় না রাসুল (সা.) তাদের অভিসম্পাত করেছেন। (বায়হাকি, শুয়াবুল ঈমান : ১৬৬৮) এটি
হে আল্লাহ! সুস্থতার সঙ্গে রোজা রাখার তাওফিক দাও
আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অপার কৃপায় আমরা পবিত্র মাহে রমজানের রোজা রাখার সৌভাগ্য পেয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ। বিশ্বময় মহামারি করোনাকালীন সময়ে মাহে রমজানের রহমতের দশকের প্রথম রোজা সুস্থতার সঙ্গে রাখতে পেরে আল্লাহর দরবারে হাজারো শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। আল্লাহপাকের কাছে এই প্রার্থনাই থাকবে, মহামারি করোনা থেকে রক্ষা করে মুসলিম উম্মাহ যেন সুস্থতার