ধর্ম সংবাদ
মুসলমানদের আশ্রয়স্থল নাজ্জাশি বাদশাহ
হাবশায় মুসলিমদের নিরাপদ জীবনযাপন মক্কার মুশরিকদের মর্ম বেদনার কারণ ছিল। নবুয়তের সপ্তম বছর তারা মুসলিমদের মক্কায় ফিরিয়ে আনতে বিপুল পরিমাণ উপঢৌকনসহ আমর ইবনুল আস (তখনো মুসলিম হননি) ও আবদুল্লাহ ইবনে আবু রাবিয়াকে প্রতিনিধি হিসেবে পাঠায়। সমকালীন আরবে বিচক্ষণ ও বাক-কৌশলে তাদের বিশেষ খ্যাতি ছিল। তারা নাজ্জাশিকে বলে, হে বাদশাহ, ‘আপনার দেশে আমাদের
কোরআনে স্বাস্থ্য সুরক্ষার মূলনীতি
মুসলমান মাত্রই বিশ্বাস করে যে ইসলামের শিক্ষা মেনে জীবনযাপন করলে একটা সুস্থ ও উন্নত জীবন লাভ করা যায়। পবিত্র কোরআন তিনটি জরুরি বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে। আর এই নির্দেশনার আলোকে মানবজীবন সুখময় এবং শান্তিময় করার নীতিমালা প্রণীত হয়েছে। মানবজীবনের সফলতার জন্য যে তিনটি বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে সেগুলো হলো : ১. আধ্যাত্মিক। ২. মানসিক। ৩. শারীরিক স্বাস্থ্য।
করোনাকালে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অজু
উচ্চারণ : ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম।’ অর্থ : মহান আল্লাহ পবিত্র, সমস্ত প্রশংসা তাঁরই, মহান আল্লাহর পবিত্রতা, যিনি শ্রেষ্ঠতর।’ উপকার : হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, দুটি বাক্য এমন রয়েছে, যা বলা সহজ, আমলের পাল্লায় অনেক ভারী, আর আল্লাহর কাছেও অধিক পছন্দনীয়। সেটি হলো, ‘সুবহানাল্লাহি
করোনাকালে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অজু
বৈশ্বিক মহামারি করোনা শুরুর পর দেশে দেশে হাত ধোয়ার ব্যাপারে স্বাস্থ্যবিজ্ঞানী, চিকিৎসক ও সমাজকর্মীরা সোচ্চার হয়েছেন। হাত যেন পরিষ্কার থাকে, হাত থেকে হাতে বা হাত থেকে নাকে-মুখে যেন ভাইরাস না ছড়ায় সেটিই ছিল এই প্রচেষ্টার লক্ষ্য। হাত ধোয়ার ব্যাপারে সচেতনতা তৈরির জন্য প্রতিবছর ১৫ অক্টোবর বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস নামে একটি দিবসও পালন করা হয়। দুটি চেষ্টাই
আল্লাহর অপূর্ব নিয়ামত মধু
মৌমাছি ছোট একটি পতঙ্গের নাম। এটির নামে আল্লাহ তাআলা কোরআনের পুরো একটি সুরার নামকরণ করেছেন। যার নাম সুরাতুন নাহল। কোরআন ও হাদিসে আল্লাহ তাআলা ও রাসুলুল্লাহ (সা.) একাধিকবার মধু এবং মৌমাছির ব্যাপারে আলোচনা করেছেন। এতে খুবই অবাক করার মতো তথ্য আছে। তা ছাড়া বিভিন্ন বিজ্ঞানী মৌমাছির ব্যাপারে গবেষণা করতে গিয়ে খুবই বিস্ময়কর কথা বলেছেন, যা একজন মুমিন
অমুসলিমদের দান করলেও সওয়াব মিলে
গরিব-দুঃখী মানুষের খোঁজখবর রাখা, দান-সদকা করা সচ্ছল মুসলমানদের একটি প্রধান কর্তব্য। ইসলামে বড় সওয়াবের কাজগুলোর একটি। কুরআনে বহু জায়গায় আল্লাহ সালাত আদায়ের নির্দেশ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সদকা করার নির্দেশ দিয়েছেন। কোথাও কোথাও এ সদকা মানে জাকাত, কোথাও কোথাও এর উদ্দেশ্য নফল সদকা; যার কোনো নির্দিষ্ট সীমা বা পরিমাণ নেই। জাকাত ইসলামের ফরজ বিধান।
মুসলমানদের একতাই বল একতাই শান্তি
মোমিন বান্দার জন্য একতাই বল। একতাই শান্তি। পৃথিবীর ইতিহাসে এ জাতি তখনই পরাজিত ও লাঞ্ছিত হয়েছে, যখন তাদের পরস্পরের মাঝে বিভেদ ও বিচ্ছিন্নতা জায়গা করে নিয়েছে। আর তারা যখন নিজেদের ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্য ও সংহতির প্রাচীর নির্মাণ করতে পেরেছে, হাতে হাত ও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলতে সক্ষম হয়েছে, তখন তাদের কোনো শক্তিই পরাজিত করতে পারেনি। পারেনি নিগৃহীত
ডাক দিয়ে যায় কুওয়াতুল ইসলাম মসজিদ
ঐতিহাসিকভাবে সত্য, প্রিয় নবী (সা.)-এর জীবদ্দশায় উপমহাদেশে ইসলাম প্রচার শুরু হয়। সাহাবি, পীর-দরবেশের দাওয়াতি মেহনতে এ অঞ্চলের মানুষ হয়ে ওঠে গুণে-মানে অনন্য। আর দিল্লিকেন্দ্রিক মুসলিম শাসনের গোড়াপত্তন মধ্যযুগীয় তুর্কি শাসক কুতুবুদ্দিন আইবেকের নেতৃত্বে। প্রথম মুসলিম সুলতান বিজয়স্মারক হিসেবে দিল্লিতে গড়ে তোলেন মুসলমানদের প্রথম স্থাপত্য নিদর্শন
ইসলামে আনুগত্যের নীতি ও ভিত্তি
জাগতিক শৃঙ্খলার জন্য আল্লাহ মানবসমাজে কিছু মানুষকে নেতৃত্ব দান করেছেন। যারা আল্লাহর পক্ষ থেকে নেতৃত্বের গুণ ও অবস্থান লাভ করেছে তাদের দায়িত্ব মানুষকে সুপথ দেখানো। একইভাবে অনুসারীদের দায়িত্ব হলো কারো আনুগত্য ও অনুসরণ করার আগে কোরআন-হাদিসের আলোকে যাচাই করে নেওয়া। ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি তাদের মধ্য থেকে নেতা মনোনীত করেছিলাম—যারা আমার নির্দেশ
জালালুদ্দিন রুমির শহর কোনিয়া
তুরস্কের দক্ষিণ আনাতোলিয়ার মধ্যভাগে অবস্থিত চমৎকার এক নগরী কোনিয়া। এটিকে তুর্কি জাতির উত্থানের সূতিকাগার বিবেচনা করা হয়। একাধিক সভ্যতার অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক রাজধানী ও কেন্দ্র ছিল এই নগরী। সেলজুকদের রাজধানী থাকাকালীন শহরটি গৌরবময়কাল অতিবাহিত করে। পরে একসময় তা মোঙ্গলদের দখলে চলে যায়। প্রখ্যাত সুফি সাধক মাওলানা জালালুদ্দিন রুমি (রহ.)-এর
মুসলিম জনসংখ্যা যেভাবে সম্পদ হতে পারে
পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই এখন মুসলমানের অস্তিত্ব আছে। যেসব দেশে মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ তাদের সংখ্যাও নিতান্ত কম নয়। তবে আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিপুল জনসংখ্যা ও বহুসংখ্যক মুসলিম দেশের কোনো প্রভাব লক্ষ্য করা যায় না। কোনো কোনো মুসলিম রাষ্ট্র অর্থনৈতিকভাবেও এগিয়ে, খনিজ সম্পদের কারণে তাদের পৃথিবীর উন্নত রাষ্ট্রগুলোর কাতারভুক্ত
সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর ‘তাহনিক’ করা সুন্নত
ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম। এর প্রতিটি নির্দেশনাতেই রয়েছে মানুষের ইহকালীন ও পরকালীন কল্যাণ। তাই উভয় জাহানের কল্যাণ অর্জনের জন্য কোরআন-সুন্নাহ আঁকড়ে ধরার বিকল্প নেই। কোরআনের প্রতিটি নির্দেশনা যেমন মানব জাতির জন্য কল্যাণকর, রাসুল (সা.)-এর সুন্নতগুলোও তাই। এ কারণেই মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনের মাধ্যমে রাসুল (সা.)-এর সুন্নতগুলো আঁকড়ে ধরার নির্দেশ