ধর্ম সংবাদ
সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর ‘তাহনিক’ করা সুন্নত
ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম। এর প্রতিটি নির্দেশনাতেই রয়েছে মানুষের ইহকালীন ও পরকালীন কল্যাণ। তাই উভয় জাহানের কল্যাণ অর্জনের জন্য কোরআন-সুন্নাহ আঁকড়ে ধরার বিকল্প নেই। কোরআনের প্রতিটি নির্দেশনা যেমন মানব জাতির জন্য কল্যাণকর, রাসুল (সা.)-এর সুন্নতগুলোও তাই। এ কারণেই মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনের মাধ্যমে রাসুল (সা.)-এর সুন্নতগুলো আঁকড়ে ধরার নির্দেশ
শবেবরাতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
শবেবরাত শব্দ দুটি হাদিসে নেই। হাদিসের ভাষায় এ রাতকে ‘লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান’ তথা ১৫ শাবানের রাত বলা হয়। ‘শবেবরাত’ ফারসি শব্দ। ‘শব’ শব্দের অর্থ রাত, ‘বরাত’ অর্থ নাজাত বা মুক্তি। এই দুই শব্দ মিলে অর্থ হয় মুক্তির রজনী। এ রাতের ফজিলত সম্পর্কে কোরআন মাজিদে সরাসরি নির্দেশনা না থাকলেও হাদিস শরিফে নির্ভরযোগ্য সনদ বা বর্ণনাসূত্রে একাধিক
সম্পদের সুরক্ষায় সর্বাত্মক লড়াই করা জায়েজ
ইসলাম ইহকাল ও পরকালের মধ্যে ভারসাম্য সৃষ্টি করেছে। একজন মুমিন শুধু পরকাল নিয়ে পড়ে থাকবে, ইসলাম এটা চায় না। ইসলাম চায় প্রয়োজন অনুসারে ইহকাল ধারণ করে মানুষ পরকালমুখী হোক। ইসলাম কখনো দুনিয়াদারি বাদ দিয়ে শুধু ধর্মকর্ম করার নির্দেশ দেয় না। সমাজে দুর্বল হয়ে কোনো মুসলমান বসবাস করবে, এটা ইসলাম পছন্দ করে না। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘দুর্বল মুমিনের চেয়ে
ইসলামে কাউকে অপবাদ দেওয়ার শাস্তি
মিথ্যা বলা পাপ। মিথ্যার সর্বোচ্চ পর্যায় হলো কারো ওপর অপবাদ দেওয়া। যে অপরাধ বা দোষ কারো ভেতর নেই, এমন অপরাধ বা দোষ তার জন্য সাব্যস্ত করাকে অপবাদ বলা হয়। অপবাদ কখনো কখনো কুফরি পর্যন্ত নিয়ে যায়। আল্লাহ ও তাঁর রাসুল সম্পর্কে অপবাদ দেওয়া কুফরি। পবিত্র কোরআনে মূর্তি পূজার সঙ্গে মিথ্যা সাক্ষ্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘...সুতরাং তোমরা
ক্রয়-বিক্রয়ে ইসলামী রীতিনীতি
ক্রয়-বিক্রয় করতে হবে দুই পক্ষের সম্মতির ভিত্তিতে। এ ক্ষেত্রে জোরজবরদস্তি গ্রহণযোগ্য নয়। যেসব দ্রব্য বিক্রি করা হবে, তা সামনে থাকতে হবে অথবা তার নমুনা সামনে থাকতে হবে। অদেখা দ্রব্য দেখার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার শর্তে ক্রয় করলে এমন ক্রয়-বিক্রয় বৈধ। বিক্রীত দ্রব্যের সব অবস্থা (দোষ-ত্রুটি থাকলে তাসহ) ক্রেতাকে খুলে বলতে হবে, অন্যথায় বিক্রি
সুদের অর্থনৈতিক কুফল
সুদভিত্তিত অর্থব্যবস্থা শোষণের হাতিয়ার। বর্তমানে অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও সামাজিক অস্থিরতার মূলে আছে সুদের কুপ্রভাব। ইসলামে সুদভিত্তিক অর্থব্যবস্থা নিষিদ্ধ। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘হে মুমিনরা, তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সুদের বকেয়া যা আছে তা ছেড়ে দাও, যদি তোমরা মুমিন হও।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৭৮) সুদের অর্থনৈতিক কুফলগুলো নিম্নরূপ— ধনী-গরিব
কোরআনের বাণী
মুহাম্মদ (সা.) শেষ নবী ইরশাদ হয়েছে, ‘মুহাম্মদ তোমাদের মধ্য থেকে কোনো পুরুষের পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর রাসুল ও শেষ নবী। আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্বজ্ঞ।’ (সুরা আহজাব, আয়াত : ৪০) সকাল-সন্ধ্যা আল্লাহর মহিমা ঘোষণা করো ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা, আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করো এবং সকাল-সন্ধ্যা আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করো।’ (সুরা আহজাব, আয়াত : ৪১-৪২) পরকালে
সন্তানকে দ্বিনদার করে তুলতে করণীয়
নেক সন্তান আল্লাহর অপূর্ব নিয়ামত। তাদের মাধ্যমে মহান আল্লাহ মা-বাবাকে ইহকাল ও পরকালে সম্মানিত করেন। পবিত্র কোরআনে সন্তান-সন্ততিকে জীবনের শোভা বলা হয়েছে। হাদিসের ভাষায় তাদের আখ্যা দেওয়া হয়েছে সদকায়ে জারিয়া হিসেবে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, যখন কোনো লোক মারা যায়, তখন তার সব আমল বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু তিন প্রকার আমল (জারি থাকে)।
যে পাপে ডুবে যায় পৃথিবী
মহান আল্লাহ নুহ (আ.)-কে সুদীর্ঘ জীবন দান করেছিলেন। তিনি দীর্ঘ সময় তাঁর উম্মতকে আল্লাহর একত্ববাদের দাওয়াত দিয়েছিলেন। প্রজন্মের পর প্রজন্মকে সব পাপ ত্যাগ করে আল্লাহর দরবারে ফিরে যাওয়ার আহ্বান করেছেন। কিন্তু শতাব্দীর পর শতাব্দী অক্লান্তভাবে দাওয়াত দেওয়ার পরও তারা ঈমান আনেনি; বরং আল্লাহর সঙ্গে শরিক করেছে। কুফর শিরকে লিপ্ত হয়েছে। তিনি তাঁর জাতিকে
ইসলামে প্রবীণদের অগ্রাধিকার ও বিশেষ সুবিধা
প্রবীণ ও বয়োজ্যেষ্ঠ মুরব্বিরা সব সময় শ্রদ্ধার পাত্র। যথাযুক্ত সম্মানের পাশাপাশি তাঁদের সার্বিক যত্ন নেওয়া মানবতা ও ঈমানের দাবি; বরং প্রবীণদের যথাযথ মূল্যায়ন করার মধ্যেই একটি সমাজের কল্যাণ। রাসুল (সা.) বলেন, ‘প্রবীণদের সঙ্গেই তোমাদের কল্যাণ, বরকত আছে।’ (সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস : ৫৫৯; মুসতাদরাক হাকিম, হাদিস : ২১০) তাই প্রবীণ যে-ই হোক না কেন
সর্বাধিক নফল রোজা শাবান মাসে
রমজানের আগের মাস শাবান। রমজানে মাসব্যাপী সিয়াম সাধনা করা ফরজ। এর বাইরে সপ্তাহে, মাসে এবং বছরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিনে নফল রোজা রাখার কথা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু সর্বাধিক নফল রোজা শাবান মাসে। রমজানের ব্যাপারে আগ্রহ, গুরুত্ব ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাসুলুল্লাহ (সা.) শাবান মাস থেকেই বেশি বেশি রোজা রাখতেন। তিনি এ মাসের বেশির ভাগ দিন রোজা
তাওয়াক্কুলের পরিচয় ও উপকারিতা
আল্লাহর ওপর পূর্ণ ভরসা রাখা মুমিনের বৈশিষ্ট্য। কোনো ব্যক্তি আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা না রেখে মুমিন হতে পারে না। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহর ওপরই ভরসা করতে হবে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহর ওপরই তাওয়াক্কুল করো, যদি তোমরা মুমিন হও। (সুরা : মায়েদা, আয়াত : ২৩) তাওয়াক্কুল আরবি শব্দ। এর অর্থ হলো নির্ভর করা, ভরসা করা, আস্থা রাখা। ‘তাওয়াক্কুল