ধর্ম সংবাদ
ফারসি ভাষার উন্নয়নে মুসলমানের অবদান
ফারসি পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন ভাষা। খ্রিস্টপূর্ব তিন হাজার বছর আগে এই ভাষার উদ্ভব হয়। উপমহাদেশের মুসলিম ইতিহাসের সঙ্গে ফারসি ভাষার নিগূঢ়তম সম্পর্ক রয়েছে। দীর্ঘ পাঁচ শ বছর ফারসি ভাষা ছিল ভারতীয় উপমহাদেশের রাষ্ট্রীয় ভাষা। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ওপরও রয়েছে ফারসি ভাষার সুদীর্ঘ প্রভাব। ফারসি ভাষার উদ্ভব : ফারসি ভাষা ও সাহিত্যের উৎপত্তি ও বিকাশ
দৃষ্টি সংযতকারীর জন্য জান্নাতের ঘোষণা
চোখ জীবের প্রতি আল্লাহর বিশেষ দান ও অনুগ্রহ। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ চোখকে অনুগ্রহ হিসেবে উল্লেখ করে তা ব্যবহারে সংযত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি মানবজাতিকে সতর্ক করে বলেছেন তোমাদের চোখ যা দেখে আমি তা দেখি এবং পরকালে এ জন্য তোমাদের জবাবদিহি করতে হবে। চোখ আল্লাহর অনুগ্রহ : জীবের প্রতি আল্লাহর অসংখ্য অগণিত অনুগ্রহের মধ্যে যে কয়েকটির কথা আল্লাহ
মধ্যপন্থা ইসলামের সৌন্দর্য
ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। ইসলামের প্রতিটি বিধান ও হুকুম পরিমিত ও সহজ, ন্যায়নিষ্ঠ ও ভারসাম্যপূর্ণ। মধ্যপন্থা ইসলামের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ও সৌন্দর্য। বিশ্বাস, ইবাদত, লেনদেন, ব্যবসা-বাণিজ্য, আইন-কানুন, ভাব ও অনুভূতি, ব্যক্তিগত ও সামাজিক বিষয়াবলি, বুদ্ধি, আবেগ, অন্তর ও আদর্শ সব কিছুতেই ইসলাম মধ্যপন্থা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছে। কোরআনে মধ্যপন্থা
মিথ্যা পাপের পথ দেখায়
মিথ্যা মহাপাপ জেনেও মানুষ বিভিন্ন সময় পার্থিব সফলতার আশায় মিথ্যার আশ্রয় নেয়। অথচ এই মিথ্যাই মানুষের সফলতার সবচেয়ে বড় অন্তরায়। রাসুল (সা.) এ ব্যাপারে তাঁর উম্মতদের সতর্ক করেছেন। আবদুল্লাহ বিন মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত বিশাল একটি হাদিসের একাংশে উল্লেখ আছে, ...‘সাবধান! তোমরা মিথ্যাচারিতা থেকে দূরে থেকো। কেননা মিথ্যাচারিতা দ্বারা না সফলতা অর্জন
অভ্যাস যেভাবে ইবাদত হয়
বেঁচে থাকার তাগিদে অথবা কারণে-অকারণে কিছু কাজ প্রতিদিন করতে হয়। এগুলোকে অভ্যাস বলা হয়। কিন্তু যথাযথ নিয়ম মেনে কাজটি সম্পাদন করলে তা ইবাদতে পরিণত হতে পারে। জাগতিক এসব কাজ পরকালে পুণ্য অর্জনের কারণ হতে পারে। এখানে এমন কিছু কাজের কথা উল্লেখ করা হলো— সাধারণ ইবাদতে পরিণত হওয়ার সূত্র মানুষ অভ্যাসের বশে অথবা জাগতিক চাহিদার ভিত্তিতে যেসব কাজ
উপমহাদেশের আধ্যাত্মিক পথপ্রদর্শক
হাকিমুল উম্মত আল্লামা আশরাফ আলী থানবি (রহ.) ছিলেন উপমহাদেশের অন্যতম সংস্কারক আলেম ও আধ্যাত্মিক রাহবার। লেখালেখি, পাঠদান, আধ্যাত্মিক পরিশোধনের মাধ্যমে তিনি মুসলিম উম্মাহকে পথ দেখিয়েছেন। সমকালীন আলেমরা তাঁকে ‘মুজাদ্দিদে মিল্লাত’ বা জাতির মহান সংস্কারক হিসেবে স্বীকৃতি দেন। এখনো তাঁর শিষ্য ও অনুসারীরা উপমহাদেশের মুসলিম জাগরণ ও দ্বিনি শিক্ষা
মানুষকে কষ্ট দেওয়া হারাম
পৃথিবীতে শাশ্বত শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে ইসলাম ধর্মের আবির্ভাব হয়েছে। শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনে ইসলাম যুদ্ধ করার কথা বলেছে। অশান্তি আর অন্যায়ের মূলে আঘাত হেনেছে। ইসলাম অন্যায়কে আশ্রয় দেয় না। উৎপীড়নকে সহ্য করে না। উৎপীড়ন করা গুনাহ বিনা দোষে কাউকে উৎপীড়ন করা নিকৃষ্ট কাজ। উৎপীড়নকারীকে আল্লাহ অপছন্দ করেন। উৎপীড়নকারীর ঝুলিতে গুনাহ লেখা হয়।
জানাজার আগে বক্তৃতার বিধান ও বিষয়বস্তু
মৃত্যুর পর নবজীবনের প্রাক্কালে মৃতের বিদায়ি সম্ভাষণ জানাজা। মহান আল্লাহ মানুষকে তিন অবস্থায় রাখেন— মাটির ওপরে, মাটির নিচে, মায়ের পেটে! আশ্চর্যের বিষয়, আমরা সবাই বেহেশতে যেতে চাই, কিন্তু মরতে চাই না। মহান আল্লাহর নির্দেশ—‘ওয়া লা তামুতুন্না ইল্লা ওয়া আন্তুম মুসলিমুন...।’ অর্থাৎ ‘প্রকৃত মুসলমান না হয়ে মরো না।’ কিন্তু মরণ আমাদের হাতে
ইসলামে নারীর সুরক্ষাভাবনা
পৃথিবীর সব সৃষ্টিকেই মহান আল্লাহ যুগল করে বানিয়েছেন। সর্বোত্তম সৃষ্টি মানুষের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। মহান আল্লাহ প্রথমে আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করেছেন। এরপর তাঁর জুটি হাওয়া (আ.)-কে সৃষ্টি করেছেন। পরবর্তী পর্যায়ে এই যুগল থেকেই পৃথিবীর সব মানুষের বিস্তার ঘটেছে। কাঠামোগত কিছু পার্থক্য থাকলেও নারী-পুরুষ সবাই মানুষ। সে হিসেবে আল্লাহর সন্তুষ্টি
যেভাবে অসচ্ছলরাও দানের সওয়াব পায়
‘সদকা’ বলতে আমরা বুঝি, মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি ও সওয়াবের আশায় কাউকে অর্থ-সম্পদ, খাবার কিংবা পোশাক ইত্যাদি দান করা। ‘সদকা’কে এই সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত করা হলে মনে হবে সদকার সম্পর্ক শুধু অর্থ-সম্পদের সঙ্গে। যার কাছে অর্থ-সম্পদ আছে, সেই শুধু সদকা করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করতে পারে। যার কাছে নেই, তার সদকার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের কোনো ব্যবস্থা
ইসলামী শিক্ষার ৫ বৈশিষ্ট্য
যুগে যুগে আলেমরা যে ইসলামী শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন তার পাঁচটি বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়। নিম্নে তা তুলে ধরা হলো— ১. বৈশ্বিক ও মানবিক : ইসলামী শিক্ষা কার্যক্রমের প্রথম বৈশিষ্ট্য হলো তা বৈশ্বিক ও মানবিক হবে। তার সঙ্গে সর্ব শ্রেণির মানুষের সম্পর্ক থাকবে। কেননা পৃথিবীর সব জাতি, গোষ্ঠী, সম্প্রদায় ও বংশধারা এবং সব ভূখণ্ডের জন্য ইসলাম
দাপ্তরিক কাজে সতর্কতা মুমিনের বৈশিষ্ট্য
আবুল আলিয়া (রহ.) বলেন, ‘আমাদের নির্দেশ দেওয়া হতো যে আমরা যেন কোনো বস্তু খাদেমের কাছে দেওয়ার সময় সিলমোহর করে, ওজন করে বা গুনে দিই, যাতে তার অভ্যাস খারাপ না হতে পারে বা আমাদের কেউ কুধারণার শিকার না হয়।’ (আদাবুল মুফরাদ, হাদিস : ১৬৬) হাদিসবিশারদরা বলেন, হাদিসে মূলত দায়িত্বশীল ও নেতৃত্ব স্থানীয় ব্যক্তিদের সতর্ক করা হয়েছে। তারা যেন অধীনদের সততার ওপর