ঢাকা, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

এনআরবিসি ব্যাংকের ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ৫ মে, ২০২৪ ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩৫ বার


এনআরবিসি ব্যাংকের ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ

পরিচালনা পর্ষদের সভায় জানানো হয়, গত বছরে ব্যাংকটি তার নেটওয়ার্ক বিস্তার এবং ব্যাংকিং সেবার প্রসার ঘটিয়েছে। শাখা, উপশাখা ও বুথ মিলে সারাদেশে ১ হাজার ৬১৬টি স্থান থেকে সেবা দিচ্ছে এনআরবিসি ব্যাংক। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৫০৮ কোটি টাকা।

পুঁজিবাজারে নিবন্ধিত এনআরবিসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০২৩ সালে ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ (ক্যাশ ডিভিডেন্ড) সুপারিশ করেছে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং ব্যাংকের ১১তম বার্ষিক সাধারণ সভার অনুমোদন সাপেক্ষে এ ডিভিডেন্ড প্রদান করা হবে।

ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তমালের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার হাইব্রিড পদ্ধতিতে (অফলাইন ও অনলাইন) অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের ১৮৩তম সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভায় ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মিয়া আরজু, পরিচালক মোহাম্মদ আদনান ইমাম, মোহাম্মদ অলিউর রহমান, লকিয়ত ঊল্লাহ, মোহাম্মদ নাজিম, একেএম মোস্তাফিজুর রহমান, এএম সাইদুর রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক এয়ার চিফ মার্শাল (অব) আবু এশরার, ড. রাদ মুজিব লালন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী গোলাম আউলিয়া উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া ব্যাংকের ডিএমডি রবিউল ইসলাম, কবীর আহমেদ, হারুনুর রশীদ এবং কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আহসান হাবিবসহ ঊর্ধ্বতন নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ১৩ জুন ২০২৪ বৃহস্পতিবার ব্যাংকের ১১ম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ব্যাংকের ডিভিডেন্ড-এর রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২১ মে ২০২৪ মঙ্গলবার। সভায় ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়া ২০২৩ সালের বার্ষিক নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুমোদিত হয়।

আর্থিক বিবরণী অনুসারে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে সমন্বিতভাবে ব্যাংকের ইপিএস বেড়ে হয়েছে ২ টাকা ৪০ পয়সা, আগের বছর যা ছিল ২ টাকা ৩৩ পয়সা। এককভাবে ইপিএস ২ টাকা ১০ পয়সা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ২৩ পয়সায়।

গত বছরের ডিসেম্বর শেষে সমন্বিত হিসেবে ব্যাংকটির ব্যালান্সশিটের আকার দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৪৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। আগের বছরের ডিসেম্বরে যা ছিল ২৫ হাজার ৬২ কোটি ২০ লাখ টাকা। এ ছাড়া সমন্বিতভাবে বছর শেষে ব্যাংকটির নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৫৬ কোটি ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৭৪২ টাকা।

২০২২ সালের ডিসেম্বরে যা ছিল ১ হাজার ৩২৭ কোটি ২ লাখ ৮৩ হাজার ৮৬২ টাকা । এককভাবে এনএভি হয়েছে ১ হাজার ৪১৮ কোটি ৪ লাখ ৪১ হাজার ৫০৪ টাকা। আগের বছরের ডিসেম্বরে ছিল ১ হাজার ২৯৩ কোটি ৫৩ লাখ ২০ হাজার ২১৩ টাকা।

এ ছাড়া সমন্বিতভাবে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে শেয়ার প্রতি এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৫৮ পয়সায়। আগের বছরের ডিসেম্বরে যা ছিল ১৬ টাকা ১ পয়সা। আর এককভাবে শেয়ারপ্রতি এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ১১ পয়সা। গত ২০২২ সালের ডিসেম্বরে যা ছিল ১৫ টাকা ৬১ পয়সা।

পরিচালনা পর্ষদের সভায় জানানো হয়, গত বছরে ব্যাংকটি তার নেটওয়ার্ক বিস্তার এবং ব্যাংকিং সেবার প্রসার ঘটিয়েছে। শাখা, উপশাখা ও বুথ মিলে সারাদেশে ১ হাজার ৬১৬টি স্থান থেকে সেবা দিচ্ছে এনআরবিসি ব্যাংক। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৫০৮ কোটি টাকা, যা আগের বছরের একই সময় ছিল ১৩ হাজার ৬১৭ কোটি টাকা।

২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের চূড়ান্ত হিসেবে প্রভিশন সংরক্ষণ ও করপরবর্তী নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১৮৪ কোটি ৬৩ লাখ।

 


   আরও সংবাদ