ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ৭ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৪:১৮ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ২৩৮৭৮৭ বার
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত একটি প্রস্তাবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক উক্তি ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’রেজুলেশনে সন্নিবেশিত হয়েছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সাধারণ পরিষদে গৃহীত ‘ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার অব ডায়ালগ অ্যাজ এ গ্যারান্টি অব পিস, ২০২৩’ শীর্ষক রেজুলেশনের ১৪তম প্যারায় সন্নিবেশন করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক উক্তি ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয় (Friendship to all, malice towards none)’, যা বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির মূল ভিত্তি। কোভিড পরবর্তী বিশ্ব ব্যবস্থা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সাধারণ পরিষদের প্লেনারিতে রেজুলেশনটি উত্থাপন করে তুর্কমেনিস্তান। এটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।
বিশ্বমানবতা ও বিশ্বশান্তির অন্যতম প্রবক্তা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক উক্তিটি এবারই প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ রেজুলেশনে সন্নিবেশিত হলো। রেজুলেশনটির ১৪তম প্যারাতে বঙ্গবন্ধুর উক্তিটি যেভাবে সন্নিবেশিত হয়েছে,তা নিম্নরূপ:
‘দারিদ্র্য, ক্ষুধা, রোগ, নিরক্ষরতা এবং বেকারত্বের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের গুরুত্ব স্বীকার করে এবং গঠনমূলক সহযোগিতা, সংলাপ এবং পারস্পরিক বোঝাপড়ার চেতনায় সকলের সাথে বন্ধুত্ব এবং কারও প্রতি বিদ্বেষ নয় মর্মে জোর দেওয়া হলে তা এই উদ্দেশ্যগুলি অর্জনে সহায়তা করবে (Recognizing the importance of combating poverty, hunger, disease, illiteracy and unemployment, and emphasizing that friendship to all and malice towards none, in the spirit of constructive cooperation, dialogue and mutual understanding, will help to achieve these objectives,)’।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণদানকালে জাতির পিতা যে বিষয়গুলোর ওপর জোর দিয়ে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার কথা বলেছিলেন, সেগুলোর ধারণামূলক ভিত্তি হতে এই অনুচ্ছেদটির প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়।
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আব্দুল মুহিত এর দিক নির্দেশনায় মিশনের কূটনীতিক ড. মো. মনোয়ার হোসেন রেজুলেশনটির প্রস্তুতিপর্ব থেকে শুরু করে চূড়ান্তপর্ব পর্যন্ত নিবিড়ভাবে কাজ করেন। ফলে বিশ্বশান্তিকে এগিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টায় গৃহীত এই রেজুলেশনটিতে জাতির পিতার ঐতিহাসিক উক্তিটি অন্তর্ভূক্ত করা সম্ভব হয়।
রেজুলেশনটিতে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার সকল দেশ কো-স্পন্সর করে। সর্বমোট কো-স্পন্সর করে ৭০টি দেশ।