সম্পাদকীয় সংবাদ
মৃত্যু ঘোষণার বিজ্ঞান ও আদালতে জিজ্ঞাসা: জীবন আর মৃত্যুর সীমানায় দাঁড়িয়ে চিকিৎসকেরা : এম.এ.এ. বাদশাহ্ আলমগীর
হাসপাতালের বিছানা বনাম আদালতের কাঠগড়া একজন ডাক্তার হাসপাতালের ওয়ার্ডে স্টেথোস্কোপ কানে লাগিয়ে নীরবতা শুনছেন। তিনি ঘোষণা করলেন—“রোগী মৃত।” সেই ঘোষণাই পরে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে হয়ে ওঠে তীক্ষ্ণ প্রশ্নের লক্ষ্যবস্তু। “ডাক্তার সাহেব, আপনি কত মিনিট হার্টবিট শুনেছিলেন?” “ECG করেছিলেন কি?” “চোখে আলো ফেলে পিউপিল রিয়েকশন দেখেছিলেন?” চিকিৎসক
ন্যায়বিচারের মুখোশে প্রতিশোধ: রাষ্ট্র কাকে রক্ষা করছে? : এম.এ.এ. বাদশাহ্ আলমগীর
একটি ছোট্ট কক্ষ। জানালা নেই। আলো নেই। শুধু এক কোণে লোহার শিক। গুয়ারানতানামো বে-র এক বন্দী একদিন লিখেছিলেন, “আমি জানি না, আমি কী অপরাধ করেছি। শুধু জানি, আমি ভুল সময়ে ভুল জায়গায় ছিলাম।” তার জীবনের সবকিছু কেড়ে নেওয়া হয়েছিল—কিন্তু আদালতের সামনে দাঁড়াবার ন্যূনতম অধিকারও দেওয়া হয়নি। প্রশ্নটা তখন শুধু একজন মানুষের নয়; প্রশ্নটা রাষ্ট্রের: ন্যায়বিচার
রাজনীতি ও বিচার: স্বাধীনতা নাকি বন্দিত্ব? : এম.এ.এ. বাদশাহ্ আলমগীর
আদালতের ভেতরে রাষ্ট্রের হাত: আদালতের বেঞ্চে অসমতা ঢাকার আদালতকক্ষে এক বিকেল।রিকশাচালক শফিক মিয়া—ফি বাকি থাকায় উকিল আসেননি। অন্যদিকে প্রভাবশালী ব্যবসায়ী—তিন আইনজীবী, প্রস্তুত জামিন। কাগজে দুজন সমান। কক্ষে তারা দুই ভুবনের মানুষ। ইতিহাসের শৃঙ্খল সংবিধান বলেছে—“সব নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান।” কিন্তু স্বাধীনতার পর থেকে এ সমতা কাগজেই
আইনের দাঁড়িপাল্লা কি সত্যিই সবার জন্য সমান?: অ্যাডভোকেট এম.এ.এ. বাদশাহ্ আলমগীর
আদালতের ভেতর যেন এক অদৃশ্য চাপা উত্তেজনা। দেয়ালে ঝুলছে সংবিধানের ফ্রেম করা প্রতিশ্রুতি—“সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান।” কাঠের বেঞ্চের একপাশে বসে আছেন শফিক মিয়া—রিকশাচালক, হাতে মলিন কাগজের ফাইল, চোখে ভয় ও অনিশ্চয়তা। অন্য পাশে স্যুট-টাই পরা এক প্রভাবশালী ব্যবসায়ী, পাশে তিনজন অভিজ্ঞ উকিল, হাতে দামি ফোন, ঠোঁটে নিশ্চিন্ত হাসি। অভিযোগ?
রাষ্ট্র যখন বিচারকের আসনে পক্ষ নেয়: ন্যায়বিচারের পাল্লা কার হাতে? : অ্যাডভোকেট এম. এ. এ. বাদশাহ্ আলমগীর
"যদি আইন সবার জন্য সমান না হয়, তবে অপরাধ করার সাহস রাষ্ট্রই দেয়।" — হান ফেই, চীনা দার্শনিক। বিচারের ইতিহাসে এমন এক মুহূর্ত বারবার ফিরে আসে—যখন আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকে না শুধু একজন অভিযুক্ত, বরং রাষ্ট্র নিজেই।কারণ ন্যায়বিচারের পাল্লা, যা মানুষের আশার প্রতীক হওয়ার কথা, তা একদিন নীরবে ঝুঁকে পড়ে একদিকের দিকে-ক্ষমতার দিকে। আইন তখন কেবল
রাষ্ট্র কি অপরাধী? নাকি রাষ্ট্রই অপরাধ সৃষ্টি করে?: শেষ পর্ব: অ্যাডভোকেট এম.এ.এ. বাদশাহ্ আলমগীর
“যদি আইন সবার জন্য সমান না হয়, তবে অপরাধ করার সাহস রাষ্ট্রই দেয়।”-হান ফেই, চীনা দার্শনিক। রাষ্ট্র -যে প্রতিষ্ঠানকে আমরা ন্যায়বিচারের রক্ষক, দুর্বলের আশ্রয় বলে মনে করি — কখনো কখনো নিজেই সেই আশ্রয়ের জায়গায় বিষবৃক্ষ হয়ে ওঠে। যখন আইন, নীতি ও প্রতিষ্ঠান শক্তিশালী ও সৎ থাকে, তখন সমাজে আস্থা বাড়ে এবং অপরাধ কমে। কিন্তু আইন যদি পক্ষপাতপূর্ণ হয়,
ভাষা জানে, বিবেক বোঝে, কিন্তু আইন শুনে না : অ্যাডভোকেট এম.এ.এ. বাদশাহ্ আলমগীর
ভাষার আয়নায় বিবেক: যখন আইন হৃদয়কে বুঝতে ব্যর্থ হয় আইন কেন যেন ‘কান’ হারিয়ে ফেলেছেঃ একজন মানুষ কাঁদে। আদালত নীরব থাকে। একজন মা চিৎকার করে বলেন, “বিচার চাই!” বিচারক বলেন, “এই অনুরোধ আদালতের এখতিয়ারে পড়ে না।” আমরা এমন এক সময়ে দাঁড়িয়ে আছি, যেখানে আইন শোনে না, কারণ তার কান নেই। ভাষা—জানে,বিবেক—বোঝে, কিন্তু আইন—শুধু ধারা খোঁজে, ব্যাখ্যা
কে অপরাধী? রাষ্ট্র, মানুষ, না সময়? রাষ্ট্র কি অপরাধ সৃষ্টি করে? : পর্ব-২ : অ্যাডভোকেট এম.এ.এ. বাদশাহ আলমগীর
রাষ্ট্র কি অপরাধ সৃষ্টি করে? : “সব অপরাধ ব্যক্তি করে না, কিছু কিছু অপরাধ রাষ্ট্র করে—আর আমরা কেবল নীরব দর্শক।” — নাজিম হিকমত, তুর্কি কবি জন্ম রাষ্ট্রের ছায়া এত দীর্ঘ কেন? : যে রাষ্ট্রনেয় জনগণের সুরক্ষার জন্য, যে তার নাগরিকদের দেয় ন্যায়বিচার ও নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি—সেই রাষ্ট্রই যখন হয়ে ওঠে শোষণের যন্ত্র, ভয় আর বৈষম্যের প্রতীক, তখন প্রশ্ন
আকাশে গর্জন, মাটিতে শোক: রাষ্ট্র কি কেবল দর্শক?: অ্যাডভোকেট এম.এ.এ. বাদশাহ্ আলমগীর
একটি মুহূর্তের গর্জন, অনন্তকালের শোক একটি প্রশিক্ষণ বিমান আকাশে ওড়ে, যেমনটা প্রতিদিনই করে। কিন্তু সেদিন সেটা আর ফিরে আসে না। ঢাকার অভিজাত আবাসিক এলাকা উত্তরা—আকাশ থেকে আগুন ছিটকে পড়ে, ঘর ভেঙে যায়, মানুষ আহত হয়। কেউ চিরতরে নিথর, কেউ আতঙ্কগ্রস্ত। প্রশ্ন জাগে—এটা কি নিছক দুর্ঘটনা? নাকি রাষ্ট্রীয় অবহেলার অনিবার্য পরিণতি? ঘটনার পর রাষ্ট্রীয়
অপরাধী কে? রাষ্ট্র, মানুষ, না সময়? পর্ব-১ : অ্যাডভোকেট এম.এ.এ. বাদশাহ্ আলমগীর
অপরাধের মুখোমুখি আয়নায় কার মুখ দেখা যায়? : জন্মের পরপরই কেউ ‘অপরাধী’ হয় না। একটি শিশু পৃথিবীতে আসে নিষ্পাপ, নির্দ্বিধায়। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার চারপাশে তৈরি হয় নিয়ম, বাধা, চাপ, লোভ, অপমান, ক্ষুধা, অবহেলা আর এক অদৃশ্য কিন্তু নির্মম শৃঙ্খলের জাল। তখন প্রশ্ন জাগে—অপরাধ কি মানুষ নিজে করে, না সময় তাকে বাধ্য করে? রাষ্ট্র কি সত্যি একজন মা, না একজন
অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান দুলু – এক জীবন্ত বিবেক, এক বিচারযোদ্ধার প্রতিচ্ছবি : এম.এ.এ. বাদশাহ্ আলমগীর
যেখানে আইন থামে, সেখানেই মানুষ জাগে : সব দেশে সংবিধান থাকে, আইন থাকে, আদালত থাকে—কিন্তু সব দেশে আজিজুর রহমান দুলু থাকেন না। তিনি কেবল একজন খ্যাতিমান আইনজীবী নন, তিনি এক দৃষ্টি, এক দর্শন, এক অন্তর্দৃষ্টি—যার আলোয় শুধু আইনের পথ নয়, মানবতার গলি ঘরেও আলো পড়ে। তিনি মনে করিয়ে দেন, ন্যায় কেবল বিধানে নয়, তা প্রকাশ পায় সাহসে, সহানুভূতিতে ও বিবেকের সাহচর্যে।
ভাঙা আয়নার দেশে ন্যায়: সংবিধানের পাতা বনাম জীবনের প্রতিচ্ছবি : এম.এ.এ. বাদশাহ্ আলমগীর
আয়নার সামনে দাঁড়ালে রাষ্ট্র কী দেখে? প্রতিদিন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আমরা দেখি মুখের রেখা, চোখের ক্লান্তি, হয়তো বিবেকের দাগ। কিন্তু যদি রাষ্ট্র আয়নার সামনে দাঁড়ায়? সে কী দেখে—সংবিধানের অলংকৃত অক্ষর, না জনগণের চোখের অশ্রু? এই প্রশ্নটি শুধু দার্শনিক নয়, এটি আমাদের সময়ের সবচেয়ে বাস্তব, প্রাসঙ্গিক এবং জরুরি প্রশ্ন।প্রতিটি সমাজের একটি আয়না থাকা
