ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

অভ্যুত্থান ব্যর্থ করতে চাইলে চূড়ান্ত বিপ্লবের ডাক আসবে: আসিফ মাহমুদ

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ০৯:২৪ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ১১ বার


অভ্যুত্থান ব্যর্থ করতে চাইলে চূড়ান্ত বিপ্লবের ডাক আসবে: আসিফ মাহমুদ

টাঙ্গাইল: ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানকে যারা ব্যর্থ করতে চাইবে তাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত বিপ্লবের ডাক আসবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইলে ‘মওলানা ভাসানী ও নতুন বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ  হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

 

এরপর নিজের ভেরিফায়েড পেজে সেই বক্তব্যের একটি ফটোকার্ড শেয়ার করেন আসিফ মাহমুদ।

আসিফ মাহমুদ ওই পোস্টে লিখেছেন, ‘আমরা ৫ আগস্ট সশস্ত্র বিপ্লবের ডাক দিতে প্রস্তুত ছিলাম। কেউ যদি রক্তস্নাত এই অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করতে চায় চূড়ান্ত বিপ্লবের ডাক তাদের বিরুদ্ধেই আসবে। ’

ধারণা করা হচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকার এবং অভ্যুত্থানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিষয়ে যারা বিভিন্নভাবে প্রশ্ন তুলে অভ্যুত্থান ব্যর্থ করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত বিপ্লবের ডাক দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

এছাড়া আলোচনা সভায় অংশগ্রহণের পর নতুন উপদেষ্টা নিয়োগের বিষয়ে করা সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আমরা মনে করি যে যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তারা জনগণের আকাঙ্ক্ষার পক্ষেই থাকবেন। আপনারা এই সরকারের ওপর আস্থা রাখতে পারেন। এই সরকার জনগণের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করবেন এবং যারা নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন তারাও এই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের মধ্যে শামিল হবেন। ’

এছাড়া টাঙ্গাইল জেলা স্টেডিয়ামকে টাঙ্গাইলের বীর ‘শহীদ মারুফ স্টেডিয়াম’ নামে নামকরণ করা হবে বলে ঘোষণা দেন উপদেষ্টা।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি উপদেষ্টা পরিষদ নিয়ে সমালোচনা চলছে। ১০ নভেম্বর (রোববার) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নতুন তিন উপদেষ্টা শপথ নেওয়ার পর এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ।  আবার কেউ কেউ উপদেষ্টা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ‘অঞ্চল প্রীতি’র অভিযোগ তুলেছেন।

এ ছাড়া তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের একটি সুপারিশপত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। যার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন নাহিদ।

এদিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একটি স্লোগান ভিন্নভাবে প্রচার করা হচ্ছে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ নাহিদ ইসলামের পক্ষ নিয়ে ‘উই আর নাহিদ’ হ্যাশট্যাগ চালু করেছেন।


   আরও সংবাদ