ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫৩৪ বার
কুমিল্লার বরুড়া উপজেলায় বাড়িফেরার পথে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে লাকসাম-বরুড়া সীমান্তবর্তী উপজেলার কার্জন খাল সাহাজীবাড়ির সংযোগ খালে এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবকের নাম সোহেল পাটোয়ারী (৪০)। তিনি বরুড়া উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের সাহাজীবাড়ির মৃত জাফর আহমদ পাটোয়ারী ছেলে। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী ছিলেন। স্থানীয়রা জানান, মুদাফরগুঞ্জ বাজারের পাশে ব্রিজসংলগ্ন মনোয়ারা এন্টারপ্রাইজ নামে তার একটি দোকান রয়েছে। সেখান থেকে ১০০ গজ দক্ষিণে তার বাড়ি।
প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার রাতে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি। শুকনো খালের ভেতর দিয়ে সামনে পৌঁছলে সড়কের ওপর ওঁৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর রাতে তার মৃত্যু হয়। নিহত পরিবারের স্বজনরা জানান, সোহেল পাটোয়ারীদের সঙ্গে একই বাড়ির মৃত চাঁন মিয়া সওদাগরের ছেলে ফারুক মাস্টারের ২৪ শতক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলছে। এ সম্পত্তি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।
সম্পত্তির জের ধরে গত বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিপক্ষ ফারুক মাস্টার ডাবুরিয়া-মুড়াকটা গ্রামের কয়েকজন সন্ত্রাসী নিয়ে আসেন সম্পত্তি দখল করার জন্য। এ সময় সোহেল পাটোয়ারী বাধা দিলে ফারুক মাস্টারের লোকজন আমাদের ওপর হামলা করে মোবাইল ও টাকা হাতিয়ে নেয়। সোহেল পাটোয়ারী রাস্তার পাশে একটি দোকান নিয়ে ব্যবসা করতেন।
নিহত সোহেল পাটোয়ারী স্ত্রী আয়েশা বেগম বলেন, আমার স্বামী সবসময় বলতেন সন্ধ্যার পর তার দোকানের আশপাশে কয়েকজন ঘোরাঘুরি করত। কে বা কারা সে চিনত না। মঙ্গলবার রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়িফেরার পথে খালের মধ্যে থেকে তার শোরচিৎকার শুনি এগিয়ে গিয়ে দেখি তাকে কয়েকজন যুবক কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় রেখে পালিয়ে যায়। আমি এখন কি করব আমার সন্তানদের নিয়ে কোথায় যাব? আমি এ হত্যার বিচার চাই।
৪নং ওয়ার্ড আমির হোসেন ও ৫নং ওয়ার্ডে মেম্বার মাহবুব আলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। ব্যবসায়ী সোহেল পাটোয়ারীকে কারা হত্যা করেছে আমরা জানি না; শুনেছি। তবে সোহেলের সঙ্গে তার চাচাদের সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলছে। এ বিষয় চাচা ফারুক মাস্টার বলেন, নিহত সোহেল পাটোয়ারী সম্পর্কে ভাতিজা হয়। গত রাতে সোহেলের হত্যার ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত আমি জানি না। তাদের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে আদালতে মামলা রয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে তার সঙ্গে আমার কোনো শত্রুতা নেই।
লক্ষ্মীপুর ইউপির চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি, পুলিশ তদন্ত করে খুনিদের আইনের আওতায় আনুক।